দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাঘ থাকে বনে-বাদাড়ে। কিন্তু শহরের কলেজে যদি বাঘ দেখা যায় তাহলে হুলুস্থুল অবস্থা সৃষ্টি হবে সেটিই স্বাভাবিক।
হঠাৎ দেখা যায়, কলেজ ক্যাম্পাসে ক্যানটিনের রান্নাঘরে বাঘের লেজের মতো কিছু একটা নড়ছে। ভালোভাবে দেখার জন্য একটু এগিয়ে যায় সেখানকার এক কর্মচারী। আঁতকে ওঠেন ওই কর্মচারী! এটাতো সত্যিই একটি বাঘ! দ্রুত রান্নাঘর হতে বেরিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। শুরু করেন লোকজনকে ডাকাডাকি।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পুনের কন্ধ শহরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং ম্যানেজমেন্ট (এনআইবিএম) কলেজ ক্যাম্পাসে। সেখানে ঠিক এভাবেই দেখা মেলে একটি চিতাবাঘের। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত জানিয়ে দেয় বন কর্মকর্তাদের। প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আটক করা সম্ভব হয় চিতাবাঘটিকে।
সম্প্রতি এক সকালে ইনস্টিটিউটের একতলায় রান্নাঘরে চিতাটি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এনআইবিএম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সতর্ক করে দেয়। ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার পর শুরু করে চিতাবাঘ উদ্ধার অভিযান। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ৭ জন বন কর্মকর্তার চেষ্টায় চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় উপ-বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা সত্যজিৎ গুজার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বন কর্মকর্তারা রান্নাঘরের কাচের জানালা ভেঙে চিতাবাঘটিকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে চিতাবাঘটি সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য রান্নাঘরের ভেতর ছোটাছুটি করছিলো। ষষ্ঠবারের প্রচেষ্টায় চিতাবাঘটিকে অচেতন করা সম্ভব হয়।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, উদ্ধারের পর চিতাবাঘটিকে কটরাজে রাজীব গান্ধী জুওলজিক্যাল পার্কে নেওয়া হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় সেটিকে চন্দবলি বন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।