দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষকে কতোভাবে যে ধোকা দেওয়া সম্ভব তা এই একটি বিষয় পরিষ্কার বোঝা যাবে। রিসিভ করলেই নাকি ফোন ফেটে মৃত্যু হবে এমন ‘পরোলোকের নম্বর’ বর্তমানে ভাইরাল!
ঘড়ির কাঁটা দুপুর ১২টা ছুঁলেই আতঙ্কে থরথর কাঁপছে ভারতের কর্নাটকের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। মনে মনে ইষ্টনাম জপছে। কেও কেও পূজা-আর্চাও শুরু করে দিয়েছে। তাতেও আতঙ্ক কাটছে না। তেলেঙ্গানা রাজ্যের সীমানায় কর্ণাটকের পারভাগাড়ার কয়েকটি গ্রামের মানুষের এই আতঙ্ক। এর কারণ ৯ সংখ্যার এক মোবাইল নম্বরকে ঘিরে। এখানকার গ্রামগুলির মানুষের একটাই প্রার্থনা, যেভাবেই হোক ৯ সংখ্যার ওই নম্বরের অভিশাপ যেনো না পড়ে কারও ঘাড়ে। বলা হচ্ছে যে, রাত ৩টা পর্যন্ত নাকি জেগে কাটিয়ে দিচ্ছে গোটা এলাকাবাসী। কারণ হলো দুপুর ১২টা হতে রাত ৩টার মধ্যে নাকি এসে পড়তে পারে ৯ সংখ্যার ওই নম্বর হতে কোনও একটি ফোন।
কিছুদিন আগে হোয়াটস্অ্যাপে একটি মেসেজ এলাকার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ওই মেসেজেই ৯ সংখ্যার এই নম্বরটি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ওই মেসেজে নাকি দাবি করা হয়েছে, ৭৭৭৭৮৮৮৯৯৯ নম্বর থেকে আসা ফোন রিসিভ করলেই নাকি প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে। কারণ এই ৯ সংখ্যার নম্বর হতে আসা ফোন রিসিভ করলেই বিস্ফোরণ ঘটছে মোবাইল! দাবি করা হয়েছে, এতে নাকি ইতিমধ্যে ১০ জন মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। যদিও এর কোনে সত্যতা এখনও হাতে-নাতে পাওয়া যায়নি। পারভাগাড়ার এলাকার মানুষ ৭৭৭৮৮৮৯৯৯ নম্বরের এই ফোনকে ‘ডেথ কল’ বলে অভিহিত করেছে।
পারভাগাড়া এলাকার গ্রামবাসীদের দাবি হলো, এই নম্বর যমালয়ের। সরাসরি যমালয় হতে এবার ডাক আসছে। তাই তাঁরা সকলকে সাবধান করেছেন। শুধু পারভাগাড়া নয়, পুরো ভারতজুড়েই হোয়াটস্অ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে ৭৭৭৮৮৮৯৯৯ নম্বরটি! সেখানে বলা হচ্ছে যে, বেলা ১২ টা হতে রাত ৩টার মধ্যে এই নম্বরের কোনও ফোনকল রিসিভ না করতে।
পারভাগাড়া এলাকায় ৭৭৭৮৮৮৯৯৯ নম্বরটিকে আতঙ্ক এমন মাত্রায় বেড়েছে যে, শেষ পর্যন্ত পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। অযথা এই ধরনের মেসেজে আতঙ্কগ্রস্ত হতে মানা করা হচ্ছে। এই মেসেজের কোনও ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেছে স্থানীয় পুলিশ।