দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মঙ্গলগ্রহে সফলভাবে অভিযান চালাতে সক্ষম এমন একটি রোবট উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একদল শিক্ষার্থী!
রুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি এই রোবটটি মঙ্গলগ্রহে সফলভাবে অভিযান চালাতে সক্ষম। রুয়েটের মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মুকিদুর রহমান এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েম মিসকাতের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়ে ‘অগ্রদূত’ নামের এই রোবটটি উদ্ভাবন করেছেন।
উদ্ভাবিত রোবটটি মঙ্গলগ্রহের তাপমাত্রা পরিমাপ, পানির উপস্থিতি কিংবা এর প্রবাহ বা সেখানে কোনো বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে কিনা তা নির্ণয় করতে সক্ষম।
উদ্ভাবক দলের নেতা মুকিদুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এই রোবটটি যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালাতে সক্ষম হবে। এটি উদ্ভাবনে এমন কিছু সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালিয়ে সেখানকার আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি, বিষাক্ত যেকোনো ধরনের গ্যাসের উপস্থিতি নিরূপণ, ভূ-প্রকৃতির গঠন ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্যাদি অনুসন্ধান ও ছবি উত্তোলন করে পৃথিবীতে পাঠাতে সক্ষম।
উদ্ভাবন দলের অপর এক নেতা সায়েম মিসকাত জানিয়েছেন, আমেরিকার ইউনির্ভাসিটি অব রোভার চ্যালেঞ্জার্স (ইউআরসি) প্রতিবছর মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালাতে সক্ষম যেকোনো নতুন এবং সৃজনশীল উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। তাদের উদ্ভাবিত রোবট ‘অগ্রদূত’ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে নিবন্ধিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এটি প্রদর্শনের আমন্ত্রণও পেয়েছে।
প্রয়োজনীয় স্পন্সর পেলে রুয়েট শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তাদের উদ্ভাবিত রোবট ‘অগ্রদূত’র প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও রোবটটি আবিষ্কার দলের উপদেষ্টা ড. সজল কুমার দাস বলেছেন, এটির একটা প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে। এর মূল ভার্সন তৈরি করতে আরও অর্থ প্রয়োজন। আর্থিক সহযোগিতা পেলে আমরা এটির মূল ভার্সনটি তৈরি করতে সক্ষম হবো।
‘অগ্রদূত’ নামের নব উদ্ভাবিত এই রোবটটির প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রুয়েট উপাচর্য অধ্যাপক ড. মোহা. রফিকুল আলম বেগ। এই রোবটের প্রদর্শনী দেখতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ভিড় জমায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীসহ দর্শনার্থীরা।
উদ্ভাবনী অনুষ্ঠানে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. রফিকুল আলম বেগ বলেছেন, ‘মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালাতে সক্ষম এমন রোবট উদ্ভাবন করে রুয়েট শিক্ষার্থীরা আবারও তাদের সৃজনশীলতা এবং সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।’