দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবনের এতুটুকু মাথা গোজার ঠাই খুঁজে পেতে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ বিভুয়ে পাড়ি জমান সেইসব অবহেলিত শরণার্থীকে ইচ্ছে করে ল্যাং মারা সেই সাংবাদিকের জেল!
যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ হতে ভিটে-মাটি ছেড়ে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা যখন পুলিশের বেষ্টনি ভেঙে বুদাপেস্টের দিকে ছুটছিলো; এসময় শিশু কোলে ছুটতে থাকা এক বৃদ্ধ হুড়োহুড়ির মধ্যে সাংবাদিক পেত্রা পাসলোর সামনে হঠাৎ পড়ে যান। ছুটতে থাকা শরণার্থীদের ছবি ধারণ করতে করতেই হঠাৎ দুই শিশুকে লাথি মারেন সাংবাদিক পেত্রা। পরে পা বাড়িয়ে ছুটন্ত ওই বৃদ্ধকেও তিনি ফেলে দেন। তারপর আবার সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণও করেন!
সে সময় পড়ে যাওয়া বৃদ্ধকে পেত্রার সঙ্গে তর্ক করতে ও শিশুটিকে কাঁদতে দেখা যায়। বছর দেড়েক আগে খবর সংগ্রহের মধ্যেই এক শরণার্থীকে লাথি ও ল্যাং মেরে সমালোচিত হওয়া হাঙ্গেরির ওই নারী সংবাদকর্মীকে ৩ বছরের সাজা দিয়েছে হাঙ্গেরির একটি আদালত।
সেজেডে ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট সম্প্রতি পেত্রা লাসলোর বিরুদ্ধে এই রায় দেয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবিসি বলেছে, ৩ বছরের সাজার সময় অবশ্য পেত্রাকে জেলে কাটাতে হবে না। তবে তাকে কিছু শর্ত মেনে ও নজরদারির মধ্যে থাকতে হবে। যদিও এর বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন পেত্রা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেরি-সার্বিয়ার রোসকি সীমান্তে দুই শিশুকে পেত্রার লাথি ও এক বৃদ্ধকে ল্যাং মারার দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই সীমান্তে শরণার্থীদের ঢল ঠেকাতে পুলিশি তৎপরতার মধ্যে আরও অনেকের সঙ্গে খবর এবং ছবি সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন ক্যামেরাপারসন পেত্রা।