দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি প্রশ্ন আর তা হলো শরীর নাকি মন, শক্তিতে আসলে কে এগিয়ে? যদি অঙ্ক কষতে হয় তাহলে তর্কে যেতে হবে। তবে উত্তর যায়ই হোক না কেনো গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন প্রতিবন্ধি আদ্রিয়ানা!
যদি আপনি আদ্রিয়ানা ইরানে মাসিয়াস হার্নান্দেজের সঙ্গে আলাপ করেন, তাহলে কোনও অঙ্ক কষতে, কোনও রকম তর্কে যেতে মন চাইবে না আপনার। কারণ একজন প্রতিবন্ধি হয়েও তিনি অনেক বড় অসাধ্য সাধন করেছেন।
মেক্সিকোর ৩৯ বছরের আদ্রিয়ানা বসে রয়েছেন একটি টেবিলের সামনে। টেবিলের ওপর সারি সারি রাখা রয়েছে মোমবাতি। আদ্রিয়ানা তার চেনা খেলাটাই খেলবে। ৬০ সেকেন্ডে ক’টা মোমবাতি জ্বালানো যায় সেটিই করবেন তিনি। আদ্রিয়ানা এখন শুরু করলেন। একের পর এক বাতি জ্বালাতে থাকলেন। দেখতে দেখতে জ্বালিয়ে ফেললেন ১১টি মোমবাতি!
অনেকেই হয়তো ভাববেন ১১টি মোমবাতি জ্বালােনো এমন কী বা কাজ হলো? নির্ঘাত লেখাটা এতখানি পড়ার পরেই মনের মধ্যে প্রশ্নটা জাগতে পারে? কিন্তু গল্পটা যে এটুকু নয় সেটিই সঠিক। এই কাহিনীর আরেকটা দিক রয়েছে। মূলত সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে আসল চমক। ৬০ সেকেন্ডে ১১টি মোমবাতি আদ্রিয়ানা হাত দিয়ে জ্বালাননি। জ্বালিয়েছেন পা দিয়ে! আর তা করেই গিনেস বুকে তুলে ফেলেছেন তার নাম।
আদ্রিয়ানার জন্ম থেকেই দু ‘হাত নেই।তবে এই প্রতিবন্ধকতা সে শুধু কাটিয়ে ওঠেনি, গিনেস বুকে নাম তুলে প্রমাণও করেছেন, মনের জোর থাকলে সব কিছুই করা যায়!
মোমবাতিগুলো আদ্রিয়ানা যখন একের পর এক জ্বালাতে থাকলো, তখন তার পায়ে ধরা ছিল দেশলাই বাক্স। অন্য পা দিয়ে দেশলাই কাঠি ধরে, তা বাক্সের গায়ে ঘষে আগুন জ্বালিয়েছে সে। তারপর জ্বালিয়েছে মোমবাতিগুলো। ইতালির টেলিভিশন শো, ‘লো শো দেই’ তে এই রেকর্ড গড়েছেন আদ্রিয়ানা। এর পূর্বের রেকর্ড ছিল ৭টি মোমবাতি জ্বালানোর। পুরনো রেকর্ড ছিল ফুরম্যানের নামে। এবার তা দখন করলেন আদ্রিয়ানা।
জন্ম থেকেই আদ্রিয়ানার দু হাত নেই। কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতা সে শুধু কাটিয়ে ওঠেনি, গিনেস বুকে নাম তুলে প্রমাণ করেছে, মনের জোর থাকলে কী না করা যায়!
মোমবাতিগুলো আদ্রিয়ানা যখন একের পর এক জ্বালাচ্ছে, তখন তার পায়ে ধরা ছিল দেশলাই বাক্স। অন্য পা দিয়ে দেশলাই কাঠি ধরে, তা বাক্সের গায়ে ঘষে আগুন জ্বালিয়েছে সে। তারপর জ্বালিয়েছে মোমবাতি।
ইতালির টেলিভিশন শো, ‘লো শো দেই’ তে এই রেকর্ড গড়েছেন আদ্রিয়ানা। এর পূর্বের রেকর্ড ছিল ৭টি মোমবাতি জ্বালানোর। পুরনো রেকর্ড ছিল ফুরম্যানের নামে। আর এবার রেকর্ড গড়লেন আদ্রিয়ানা।
আদ্রিয়ানার কীর্তি শুধুযে এখানেই শেষ, তা নয়। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বই লিখেছেন আদ্রিয়ানা। প্রতিবন্ধীদের যাতে গ্রহণ করে সমাজ, তার জন্যও লড়ছেন আদ্রিয়ানা। তাছাড়া আরও অনেক, অনেক কিছু করেন এবং করছেন আদ্রিয়ানা। তারমধ্যে অবশ্যই থাকে রোজকার নিয়মমাফিক কাজগুলো। যেমন- রান্না করা, ফোন ধরা, চুল বাঁধা ও অবশ্যই মেকআপ। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সাজুগুজু করতেও সব মেয়েই ভালোবাসে। আদ্রিয়ানাও এর ব্যতিক্রম হতে যাবেন কেনো? এক কথায় সব কিছুই করেন আদ্রিয়ানা।
দেখুন ভিডিিটি: আপনিও বিস্মিত হবেন!