দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক দম্পতি গিয়েছিলেন বিদেশে চাকরি করতে। কিন্ত এক রাতে ঘটলো এমন কিছু যে, ওই দম্পতি হয়ে গেলেন কোটিপতি!
ভাগ্য বলে একটা কিছু আছে বলে আমরা অনেকেই মানি। সেই ভাগ্যের বদৌলতে কেও রাতারাতি কোটিপতি বনে যেতে পারেন। যেমনটি ঘটেছে এক দম্পতি শ্রীরাজ কৃষ্ণানের জীবনে। সম্প্রতি ভাগ্যের বদান্যতায় রাতারাতি তিনি হয়ে গেছেন কোটিপতি।
শ্রীরাজ জন্মগতভাবে ভারতের কেরলের বাসিন্দা। ৯ বছর আগে কর্মসূত্রে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন আবু ধাবি। সেখানে একটি শিপিং কোম্পানিতে কাজ করতেন। স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই। তবে আর্থিক উন্নতির স্বপ্ন কেই না দেখে। শ্রীরাজ তাই নিয়মিত লটারির টিকট কিনতেন, ভাগ্য ফেরানো আশায়। যদি কোনও দিনই ভাগ্য প্রসন্ন হয় সে আশায় টিকিট কিনতেন। একটা কানাকড়িও কোনওদিন লটারি হতে যেতেননি শ্রীরাজ। হতাশ শ্রীরাজ তাই দিন সাতেক আগে লটারির একটি টিকিট কেনার সময় মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, এবারই শেষ, আর কোনও দিন তিনি লটারির পেছনে গাঁটের কড়ি খরচ করবেন না। তবে তখনও তিনি জানতেন না যে, নিয়তি তারজন্য কী স্থির করে রেখেছে।
পরের দিন অর্থাৎ বিগত ৫ মার্চ সকাল বেলা শ্রীরাজের মোবাইলে হঠাৎ কল আসে। আবুধাবির বিখ্যাত লটারি সংস্থা ‘বিগ টিকিট ড্র’ কর্তৃপক্ষের তরফ হতে ফোন করে শ্রীরাজকে জানানো হয় যে, তার কাটা টিকিট নম্বর ৪৪৬৯৮ লটারিতে প্রথম পুরস্কারটি জিতেছে। জানানো হয়, প্রথম পুরস্কার হিসেবে ভারতীয় মুদ্রায় ১২.৭১ কোটি টাকা পেতে যাচ্ছেন শ্রীরাজ।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, শ্রীরাজ এবং তার স্ত্রী এখন সুখের সাগরে ভাসছেন। স্থানীয় সংবাদপত্র ‘খালিজ টাইমস’-কে তিনি জানিয়েছেন, ‘যখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে লটারির টিকিট কাটা বন্ধ করে দেবো বলে ভেবেছিলাম, ঠিক তখনই ঘটলো অবিশ্বাস্য ঘটনাটা ।’ ভাগ্য যে সত্যিই কখন কী ঘটায়, তা কেও হলফ করে বলতে পারবে না। শ্ররাজ ও তার স্ত্রী একদিন চাকরির আশায় এসেছিলেন বিদেশে। তাদের সেই আশা যেনো সতিই সফল হলো।