দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘এক ঘণ্টার জন্যও ফেসবুক বন্ধ থাকবে না। বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধের প্রশ্নই আসে না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ হতে ৬ ঘন্টা ফেসবুক বন্ধ রাখার বিষয়ে যে মতামত চাওয়া হয়েছিলো, সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে বিটিআরসি হতেও আমরা মতামত নিয়েছি। সবকিছু পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দেশে বড় কোনো ইস্যুতে প্রয়োজন না হলে ফেসবুক কখনই বন্ধ করা হবে না।’
আজ (৪ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘মধ্যরাতে ফেসবুক ও কার্টুন চ্যানেল বন্ধ রাখার বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন হতে। ওই বৈঠকে ফেসবুক ও কার্টুন চ্যানেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসকরা। তখন প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দেন। এরপর এই বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মতামত চেয়ে গত বছর ২৮ আগস্ট একটি চিঠি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে ৭ মাসে এ বিষয়ে কোনো জবাব না পাওয়ার কারণে গত ২৩ মার্চ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে আরেক দফা চিঠি পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই মতামত চেয়ে গতকাল (সোমবার) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিটিআরসিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিটি পাঠায়।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে গতকাল (সোমবার) পাঠানো বিটিআরসির মতামতে বলা হয়, বর্তমানে ফেসবুক শুধু একটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমই নয়। এটি ব্যবহার করে সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে নারীরা অনলাইনে ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করছেন। কারিগরিভাবে কেবল ছাত্রছাত্রীদের জন্য ফেসবুক বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ হলো এখানে বয়স নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেই। ফেসবুক ইন্টারনেট গেটওয়ে হতে বন্ধ করা হলেও বিভিন্ন ভিপিএন কিংবা প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে ব্যবহার করা সম্ভব।
বিটিআরসি পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ফেসবুক বন্ধ করলেও ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো মাধ্যম দিয়েও যোগাযোগ করা সহজ বিষয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ হতে ইউরোপ, আমেরিকায় যোগাযোগ করার জন্য মধ্যরাত বেশি সুবিধাজনক সময়। নিজেদের মতামতে ছাত্রছাত্রী ও তরুণ-তরুণীদের ফেসবুক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছে বিটিআরসি। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভিভাবকের মাধ্যমে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটে কী দেখছে, সে বিষয়ে অভিভাবক, গণমাধ্যম এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির পরামর্শও দিয়েছে বিটিআরসির তাদের চিঠিতে।