দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মারাত্মক খরার বিরূপ প্রভাবে কেনিয়ায় জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাাতিক রেডক্রস সম্প্রতি এ তথ্য দিয়েছে।
কেনিয়ায় পর পর দুই মৌসুম বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচণ্ড খরায় শস্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। যে কারণে খাদ্যদ্রব্যের দাম বর্তমানে খুবই চড়া। গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বিগত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
কেনিয়ায় কর্মরত রেডক্রস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. আব্বাস গুলেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকেই যাচ্ছে। শিশুদের মাঝে অপুষ্টির হার বেড়েই চলেছে। শিশুরা ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হাজার গবাদিপশুর মৃত্যুর কারণে পারিবারিক আয় একেবারে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।’
রেডক্রস সাধারণ সম্পাদক বলেন, পানি যোগাড় করা কঠিন হতে কঠিনতর হয়ে উঠছে। পরিবারের জন্য পানি আনতে তিন মাইল পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে জনগণকে।
পানির কারণে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এই পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুও হয়েছে। এছাড়া পানির অভাবে বন্যপ্রাণীর জীবন বিপন্ন হয়ে উঠছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেনিয়ায় খাদ্যাভাবে ভোগা মানুষের সংখ্যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৪০ লাখে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস ফেডারেশনের আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণসংস্থাগুলোর সামর্থ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তা না হলে হাজার হাজার লোক মারা যাবে এবং শিশুরা অপুষ্টির কারণে পঙ্গু হয়ে যাবে।