দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাইথন নিয়ে আমাদের আগ্রহের কমতি নেই। এমন পাইথনের কোনো খবর দেখলে আমরা সেটি ভালো মতোই দেখি। এমনই এক পাইথনের খবর রয়েছে আজ। পোষা পাইথনকে বেঁধে না রাখায় জরিমানা গুণতে হলো এক ব্যক্তিকে!
প্রশ্ন আসতে পারে সাপের কি পা থাকে? যে তাকে রশি বেঁধে আটকে রাখা যাবে? তবুও সাপকে বেঁধে না রাখার কারণে জরিমানা করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। আমেরিকার সাউথ ডাকোটা পার্কে নিজের পোষা সাপটিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ১৯০ ডলার জরিমানা করেছে পার্কের অ্যানিমেল কন্ট্রোল অফিসার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি কেনো তার পোষা সাপটিকে বেঁধে রাখেননি?
জেরি কিম্বাল নামে ওই ব্যক্তি একটি সাপ পোষেন। ওই সাপটিকে নিয়েই সময় কাটাতে এসেছিলেন সাউথ ডাকোটা পার্কে। সেখানে এসে তিনি সাপটিকে ছেড়ে দেন। তবে খেয়াল রেখেছিলেন যেনো সাপটি খুব বেশি দূর না যেতে পারে। তবে ওই সাপটি উন্মুক্ত ও বাধাহীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর কারণে চলে আসলেন সেখানকার প্রাণী নিয়ন্ত্রণ এক কর্মকর্তা। তিনি ১৯০ ডলার জরিমানা ধার্য করলেন। তবে জেরি ভেবেছিলেন, এপ্রিলের প্রথম দিনের ঘটনায় হওয়ায় হয়তো তাকে ‘এপ্রিল ফুল’ বানানো হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যিই জরিমানা গুণতে হলো তাকে।
জেরির ওই পাইথনটি ছিল ফায়ার বি বল পাইথন। সিওক্স ফলস এলাকার ফলস পার্কে সাপটিকে ঘুরতে দেখে এক নারী অভিযোগ করেছিলো কর্তৃপক্ষকে। ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, একটি সাপকে উন্মুক্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটাকে বেঁধে রাখা দরকার ছিল। এর মালিক কেনো এটাকে বেঁধে রাখেননি?
কিম্বালের প্রতি ওইএকই অভিযোগ তোলেন ওই প্রাণী কর্মকর্তা। তার ভাষ্য, সাপটিকে এভাবে ছেড়ে দেওয়া মোটেও ঠিক হয়নি। কারণ তিনি এটাকে পুষছেন। তবে অধিকাংশ মানুষ এই প্রাণীটিকে ভয় পান। কাজেই এটাকে রশি বা শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা দরকার ছিল।
ইয়াহুর খবরে বলা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত বেচারা জেরির ১৯০ ডলার জরিমানা গুণতে হলো। পরে তিনি বলেন, আমার উদ্দেশ্য হলো সাপ যে ক্ষতিকর ও খুনি নয় তা মানুষকে বোঝানো। বিষয়টি নিয়ে আদালত অবধি যাওয়ার চিন্তা-ভান করছে জেরি।