দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেলজিয়ামে ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ২৬ মে। ডিসেম্বরে অনাস্থা ভোটে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল ইস্তফা দেন। যে কারণে বেলজিয়ামের জনগণ একজন প্রধানমন্ত্রীর আশায় এই নির্বাচনের দিকেই তাকিয়ে।
বেলজিয়ামে ভোট আসার পর শোনা যাচ্ছে নতুন এক খবর। আর তা হলো সেখানে ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। কোনও নাগরিক যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলে তিনি অনলাইনে ভোট দিতে পারবেন, অথবা অন্য কাওকে লিখিতভাবে দায়িত্ব অর্পণ করে যেতে পারেন নিজের ভোট দেওয়ার জন্য। ভোট না দিলে ভোটারের পরিচয়পত্র ‘ট্র্যাক’ করে তার বাড়িতে জরিমানার চিঠি পাঠানো হয়!
ভোটপর্বে নিরাপত্তাবাহিনী এবং পুলিশের ব্যবস্থা বেলজিয়ামেও রয়েছে, তবে ভোটের দিন কোনও গন্ডগোলই হয় না। অনেক সময় সরকারি কর্মীদের সাহায্য করতে প্রার্থীরা নিজেরাই ভোটের কাজকর্মে হাত দেন। এখানেও গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়া হয়। আপনি ভোট দিতে গেলে অবশ্য আঙুলে কালির বদলে একটি ম্যাগনেটিক কার্ড দেওয়া হয়, যেটা অ্যাক্টিভেট করে ভোটদান করলে প্রিসাইডিং অফিসার নিশ্চিত হবেন যে ভোটদান সম্পন্ন হয়েছে।
বেলজিয়ামের সংসদ কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের মাথার উপর রয়েছেন রাজা। বেলজিয়ামের বর্তমান রাজার নাম ফিলিপ। প্রধানমন্ত্রী পদে কে জয়ী হলেন ঘোষণা করেন তিনিই। প্রধানমন্ত্রীকেও শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজাই।
দেশটিতে জনা পনেরো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকেন। নির্বাচন কেন্দ্র ব্রাসেলসসহ মোট ১১টি। একটি কেন্দ্রে একই দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পেতে পান। ভোটাররা চাইলে এক জন প্রার্থীকেও ভোট দিতে পারেন, কিংবা একাধিক প্রার্থী মিলিয়ে একটি দলকেও ভোট দিতে পারেন, বা ‘নোটা’ও প্রয়োগ করতে পারেন ভোটাররা।
দেশটিতে আঞ্চলিক সংসদের নির্বাচনও রয়েছে। দেশটিতে মোট ৬টি সংসদ রয়েছে। ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় সংসদ, ফ্লেমিশ সংসদ (ডাচ-ভাষী এলাকার জন্য), ফ্রেঞ্চ সংসদ (ফরাসি- ভাষী এলাকার জন্য), জার্মান সংসদ (জার্মান- ভাষী এলাকার জন্য), ওয়ালোন সংসদ (ওয়ালোনিয়া এলাকাবাসীর জন্য) ও ব্রাসেলস ক্যাপিটাল রিজিয়নের (রাজধানী) জন্য পৃথক সংসদ।
দেশটিতে পৌর নির্বাচন ও জেলা নির্বাচনের জন্য পৃথক কিছু স্তর রয়েছে।