দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায় ছোট শিশুরা এখানে-ওখানে ছুটে বেড়াচ্ছে। কখনও কখনও দেখবেন চামচ ফেলে দিচ্ছে, টেবিলে থালা বাটি নাড়াচাড়া করছে, টেবিল থেকে নেমে অন্য টেবিলেও চলে যাচ্ছে, অকারণে ওয়াশরুমে গিয়ে বাচ্চারা বারবার ট্যাপ ছেড়ে দিচ্ছে। বেশির ভাগ সময়ই অন্য টেবিলের গ্রাহকদের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠে এইসব বাচ্চারা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, এই সমস্যার সমাধান হিসেবে অভিনব এক উপায় বের করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক রেস্তোরাঁ। শিশুদের দুরন্তপনা মেনে নেবে না এই রেস্তোরাঁটি। টেবিলে খাবার খাওয়ার সময় সন্তানদের সামলাতে না পারলে জরিমানা গুণবে মা-বাবাকে!
টোকোয়া রিভারসাইড রেস্টুরেন্ট নামে ওই রেস্তোরাঁর মেনু কার্ডের নিচে ‘বড়দের সারচার্জ’ হিসেবে লিখে রাখা হয়েছে যে, ‘সন্তানদেরকে সামলাতে না পারা অভিভাবকদের জন্য’। এই শব্দগুলোর পাশে ৩ ডলারের একটি চিহ্ন আঁকা রয়েছে। লেখাগুলো অন্য লেখার মাঝখানে এমনভাবেই লেখা রয়েছে, যা ঝট করে চোখেই পড়বে না। এমনকি তাদের মেন্যু কার্ডেও লেখা রয়েছে, ‘অসম্মান দেখালে সেবা নয়।’
বিল জমা দেওয়ার সময় অনেক রেস্টুরেন্ট গ্রাহক বেশ অবাক হন। কিল ল্যান্ডম্যান নামে এক গ্রাহক অনলাইনে এক রিভিউতে রিখেছেন যে, ‘রেস্তোরাঁর মালিক বেরিয়ে এসে আমাকে বললেন যে, আপনার সন্তানদের আচরণ খারাপ হওয়ায় আপনাকে অতিরিক্ত ৫০ মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন যে, ‘খাবার না আসা পর্যন্ত আমার সন্তানরা ট্যাব দেখলো, তারপর খাবার খেলো। শেষে আমি যখন বিল দেওয়ার লাইনে অপেক্ষা করেছি, তখন আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।’
ল্যান্ডম্যানের স্ত্রী লিন্ডসে এনবিসি নিউজ টুডেকে বলেছেন, ‘আমি সব ভালো করে মনে করে দেখলাম, এমন হওয়ার সুযোগ নেই। বাচ্চারা শেষের দিকেও একটি টেবিলেই ছিল। তারা কোনো ধরনের দুরন্তপনাই করেনি।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org