দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ কেনিয়াতে বর্তমানে আশঙ্কা জনক হারে গণ্ডার নিধন হচ্ছে। তাই কেনিয়ার সরকার ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় সে দেশের অবশিষ্ট গণ্ডার রক্ষার্থে গণ্ডারের শিংয়ে মাইক্রোচিপ সংযুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশ্ব জীব বৈচিত্র্যের দেশ কেনিয়া। এখানে অন্যান্য বন্য প্রাণীর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর গণ্ডার। তবে এককালে অসংখ্য গণ্ডার থাকলেও বর্তমানে চোরাকারবারিদের গুপ্ত হত্যার কারণে আশঙ্কাজনক হারে গণ্ডার কমে যাচ্ছে। সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে কেনিয়াতে আর মাত্র আনুমানিক ১,০০০ টি গণ্ডার অবশিষ্ট রয়েছে।
গণ্ডারের শিং বর্তমানে কালোবাজারে স্বর্ণ থেকেও মূল্যবান একটি বস্তু। ফলে চোরাকারবারিরা শিং সংগ্রহ করতে নির্দয়ভাবে গণ্ডার হত্যা করছে। ফলে গণ্ডার রক্ষা করতে হলে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী মনে করছেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের (KWS) কর্মকর্তারা।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের পক্ষ থেকে কেনিয়া সরকারকে ১০০০ টি হাতের নখের মত সূক্ষ্ম মাইক্রোচিপ এবং পাঁচটি স্ক্যানার সর্বরাহ করা হয়েছে যা প্রতিটি গণ্ডারের শিংয়ে সংযুক্ত করা হবে এবং স্ক্যানার দিয়ে তাদের উপর নজর রাখা হবে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের কেনিয়ার প্রতিনিধি Robert Magori বলেন, “বর্তমানে গণ্ডারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এখনই এসব গণ্ডার রক্ষায় ব্যবস্থা না নিলে এদের রক্ষা করা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। গণ্ডার রক্ষায় মাইক্রোচিপ প্রযুক্তি ব্যবহার এটি প্রথম এবং আমরা জানি প্রতিটি গণ্ডারের সাথে এই চিপ সংযুক্ত করা অনেক ব্যয় বহুল। তবে এই মুহূর্তে গণ্ডার রক্ষা আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ।”
১০০০ টি মাইক্রোচিপ এবং স্ক্যানারের জন্য প্রায় ১৩ লক্ষ্য টাকা খরচ হয়েছে এবং এসব চিপ ফিটিংস করতে এই ব্যয় আরো অনেক বাড়বে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড জানিয়েছেন এসব চিপে প্রতিটি গণ্ডারের ডিএনএ নমুনা সংগৃহীত থাকবে। ফলে গণ্ডার নিধন অনেকটাই হ্রাস পাবে, একই সাথে পাচারকারীর বিষয়েও ধারণা পাওয়া যাবে।
এখানে উল্লেখ্য যে কেনিয়াতে থাকা গণ্ডার নিধন শুরু হয় ১৯৭০ সাল থেকে। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯২ সালের মাঝে এখানকার প্রায় ৯৬ শতাংশ গণ্ডার নিধন করে ফেলা হয়।
ধন্যবাদান্তেঃ ডেলি মেইল