দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেঘের রহস্য আজও বিজ্ঞানীদের নাগালের বাইরেই রয়েছে। তবে এবার জার্মান বিজ্ঞানীরা আদা-জল খেয়ে নেমেছেন মেঘের রহস্য ভেদ করার জন্য।
এরমধ্যে জলীয় বাস্পের ক্রিয়া থেকে শুরু করে সূর্যের আলো ঢেকে দেওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করছেন গবেষকরা। মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়? বৃষ্টি কখন হয়? বিজ্ঞানীদের কাছে আকাশ এখনো রহস্যে ভরপুর একটি জিনিস।
আবহাওয়াবিদ প্রো. মানফ্রেড ভেনডিশ বলেছেন, ‘‘জলবায়ু গবেষণার ক্ষেত্রে মেঘ তৈরির প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট বিকিরণের প্রক্রিয়া সবচেয়ে অস্পষ্ট। সে কারণেই এই প্রক্রিয়াগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’’
বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করেছেন, যেখানে সরাসরি মেঘে ঢেকে যায়। আর তখন বিজ্ঞানীরা মেঘের সবচেয়ে ক্ষুদ্র উপকরণও শুষে নেন। এই গবেষণাগারে সেই পদার্থ বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। সেই তথ্যের কিংবা বদলে দেয় ইত্যাদি বিষয়গুলো।
বায়ুমণ্ডল রসায়নবিদ স্টেফান ম্যার্টেস বলেছেন, ‘‘বায়ুমণ্ডলে বিকিরণের ক্ষমতার উপর মেঘের বড় একটি প্রভাব রয়েছে। যে কারণে জলবায়ুর উপরও তাদের প্রভাব রয়েছে, যদিও তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।’’
আবহাওয়া যেমনই হোক না কেনো, পরিমাপের বেশিরভাগ যন্ত্র গোটা বছর ২৪ ঘণ্টা ধরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসছে। তাই সশরীরে উপস্থিত না থেকেও বিজ্ঞানীরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
পাহাড় নিয়েও গবেষণা চলছে। সুগস্পিৎসে শৃঙ্গের চুনা পাথর সারাবছরই শীতে জমে থাকে। সেই স্থায়ী বরফ পাহাড়টিকে অটুট রাখে। অন্তত এখন পর্যন্ত তাই রেখেছে। সেইসব বরফ গলে গেলে পাহাড় ভঙ্গুর হয়ে ভেঙে পড়তে পারে।
বিজ্ঞানীরা গোটা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের একটা সার্বিক চিত্র তৈরি করতে চলেছেন। সর্বাধুনিক পরিমাপ যন্ত্রের সাহায্যে তারা আবহাওয়ার বিবর্তন হতে শুরু করে জলবায়ুর উপর মানুষের প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারছেন। অত্যন্ত উন্নত এক লেজারের সাহায্যে মেঘের কণা প্রায় নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হচ্ছে। এর কারণ মেঘ তার শীতল করার ক্ষমতার সাহায্যে জলবায়ুর উষ্ণায়নের মোকাবিলা করতে সক্ষম। ভবিষ্যতে পৃথিবীতে কতটা বৃষ্টি হবে, সেটা জানা গবেষকদের একটা বড় লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।