৮৯ মিনিটে আরিয়ান রোবেন বায়ার্নের হয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি দিলেন আর শনিবারের রাত বায়ার্ন মিউনিখের জন্য নিয়ে এলো এক যুগ পর ইউরোপ-শ্রেষ্ঠত্বের আনন্দ। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জিতলো বায়ার্ন মিউনিখ।
গতবছর চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে আরিয়ান রোবেনের পেনাল্টি মিসেই শিরোপা স্পর্শ করতে পারেনি বায়ার্ন, এবার সেই রোবেনই শিরোপা খরা ঘুচিয়ে দিয়েছেন।
খেলার টানটান উত্তেজনায়, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে কেটে যায় প্রথমার্ধ। বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার এবং বরুসিয়ার গোলরক্ষক রোমান ওয়াইডেনফেলারের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে প্রথমার্ধে দুই দলকেই গোলবার থেকে বারবার ফিরে আসতে হয়েছে। তবে ১৪ মিনিটে প্রথম আক্রমণ চালায় বরুসিয়া। লেভানডস্কির গোলমুখ বরাবর জোরালো শট চালালে তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক নয়্যার।
প্রথমার্ধে ২৭ মিনিটে বায়ার্ন প্রথমবারের মতো পরীক্ষা নেয় বরুসিয়ার গোলরক্ষক ওয়াইডেনফেলার এর। এক নিখুঁত ক্রস থেকে মারিও মান্দজুকিচের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে উঠিয়ে দেন তিনি। এর আগে দুইবার বায়ার্নের গোলবারে আক্রমণ চালায় বরুসিয়া কিন্তু গোলরক্ষক নয়্যারের নৈপূণ্যে রক্ষা পায় বায়ার্ন।
এদিকে ৩০ মিনিটের মাথায় ওয়াইডেনফেলারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন রোবেন। রোবেনের শট ওয়াইডেনফেলারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ৪৩ মিনিটেও একই অবস্থা, গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলের মুখ দেখেননি আরিয়ান রোবেন।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু পর ৬০মিনিটের মাথায় গোলের মুখ খুলতে অবদান রাখেন রোবেন। রোবেনের নেয়া ক্রস থেকে বল পেয়ে যান প্রায় ফাঁকায় দাঁড়ানো মান্দজুকিচ, বল জালে পাঠাতে তিনি ভুল করেননি। তবে এর ৮ মিনিট পরই বক্সের মধ্যে বায়ার্নের দান্তে ফাউল করলে পেনাল্টির সুযোগ পায় বরুসিয়া। নয়্যারকে বোকা বানিয়ে বরুসিয়াকে গোল এনে দেন ইলকে গেনডোগান।
তবে ম্যাচে প্রচুর সুযোগ নষ্ট করা রোবেনের প্রতি বোধহয় ফুটবলদেবী আজ প্রসন্নই ছিলেন। ৮৯ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে রিবেরির ব্যাক হিল থেকে বল পেয়ে যান রোবেন, এবার রোবেনের শট খুঁজে নেয় গোলবারের জাল, বায়ার্নকে ভুলিয়ে দেয় গতবারের রানার্স-আপ হবার কষ্ট। উল্লেখ্য ২০১০ এবং ২০১২ সালে ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে ব্যর্থ হয়েছিলো বায়ার্ন মিউনিখ।