দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রমজান এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। বিশেষ করে ছোলা বা এই জাতীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায়। তবে এবার ব্যতিক্রম হলো হারুন মিয়া। তিনি এই রমজানে ছোলা বিক্রিতে এক পয়সাও লাভ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন!
টঙ্গীর এরশাদনগর ছোট বাজারের ব্যবসায়ী হারুন মিয়া আসন্ন রমজানকে অনুসরণীয় এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, এই রমজানে তিনি ছোলা বুট বিক্রিতে এক পয়সাও লাভ করবেন না।
বাজারের সবচেয়ে বড় পাইকারি দোকানটিই হলো এই হারুন মিয়ার। আশপাশের সব দোকানদার তার দোকান থেকেই পাইকারি মালামাল কিনে থাকেন। প্রতিদিন অসংখ্য পণ্য বিক্রি হয় তার দোকান থেকে। রমজানে ছোলা বুট বিক্রির পরিমাণ টন ছাড়িয়ে যায় জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।
এবারের রমজানে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং রোজাদারদের উপকারার্থে ছোলা বুট বিক্রিতে এক পয়সাও লাভ করবেন না বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কেনা দামের সঙ্গে পরিবহন খরচও যোগ করবেন না তিনি।
হারুন মিয়া আরও ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি আগামী বছর রমজান মাসে এই রকম তিনটি পণ্য কেনা দামে বিক্রি করবেন।
সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেছেন, আল্লাহর হুকুম মেনে ব্যবসা করলে ব্যবসায় বরকত হয়, কোনো অভাব হয় না। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র ৬২০ টাকা হাতে নিয়ে নোয়াখালী থেহতে তিনি ঢাকা এসেছিলেন। কোনোদিনই পণ্যে ভেজাল দেননি তিনি। মাপে কম দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। তিনি সব সময় গরীবের ওপর এহসান করার চেষ্টা করেছেন।
বর্তমানে হারুন মিয়ার বাজারে তার ৮টি বড় বড় দোকান রয়েছে। বিশাল ব্যবসা করেন এসব দোকান থেকে। স্থানীয় এলাকায় তিনতলা বাড়ি রয়েছে তাঁর। সবই এই ব্যবসা থেহতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন হারুন মিয়া। এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র সৎভাবে ব্যবসা করার জন্যই- এমনটিই মনে করেন এই সৎ ব্যবসায়ী হারুন মিয়া। সত্যিই হারুন মিয়া আমাদের সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত। সৎভাবে ব্যবসা করেও যে বাড়ি করা যায়, ব্যবসার প্রসার ঘটানো যায় তা করে দেখিয়েছেন টঙ্গি এলাকার এই ব্যবসায়ী হারুন মিয়া।