দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিম্পাঞ্জি হতে মানুষ ও পরবর্তীকালে তার বিবর্তন নিয়ে এক নতুন তথ্য জনসমক্ষে উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের নানা গবেষণার পর উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বিজ্ঞানীরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে লব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এতোদিন তাদের ধারণা ছিল যে, শিম্পাঞ্জি হতে উন্নততর প্রাণীর বিবর্তন ঘটেছিলো মূলত আফ্রিকায়। শুধু তাই নয়, সেটি ঘটে প্রায় পঞ্চাশ হতে সত্তর লক্ষ বছর পূর্বে।
এতোদিনের সেই ভাবনায় খানিক প্রশ্ন তুলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সেই বিবর্তন ঘটে আসলে ইউরোপে, আফ্রিকায় নয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয় একটি নরকরোটিকে, যেটি প্রায় ৭২ লক্ষ বছরের পুরনো!
এক আন্তর্জাতিক ইংরেজি দৈনিকের খবরে বলা হয়, নতুন এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে ‘প্লস ওয়ান’ নামে একটি সায়েন্স জার্নালে।
নরকরোটিটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এটির ‘প্রিমোলার’ দাঁতের মধ্যেকার ফাঁক আধুনিক যুগের মানুষের মতোই। দু’ভাগে পরীক্ষা করা হয় করোটির দাঁতের সেটিং। গ্রিস হতে পাওয়া একটি খুলির চোয়ালের নীচের অংশ এবং বুলগেরিয়া হতে পাওয়া একটি খুলির চোয়ালের উপরের অংশের সঙ্গে তুলনামূলক পরীক্ষা করা হয়েছে এই নতুন খুলিটির। জার্মানির টুবিঙ্গেন ইউনিভারর্সিটি-র ‘হিউম্যান ইভোলিউশন অ্যান্ড প্যালিওএনভায়রনমেন্ট’ বিভাগ এই পরীক্ষা চালায়।
সেখানেই দেখা যায় যে, এ যাবত প্রি-হিউম্যান জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছিল তা কেবলমাত্র আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে। তবে এই নতুন উদ্ধার হওয়া খুলিটি আফ্রিকার জীবাশ্ম হতে আরও কয়েক হাজার বছরেরও পুরনো।
এখন প্রশ্ন হলো মানুষের উদ্ভবে আফ্রিকার দাবি কি তাহলে শেষ হয়ে যাচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন।