দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদের ছুটিতে আজকাল ছোটখাটো একটা ট্যুর না করলে ছুটির আনন্দই যেনো পরিপূর্ণ হয় না। এবারের ছুটিতে স্বল্প সময়ের জন্য যদি আপনার ট্যুর করার কোনো পরিকল্পনা থাকে, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন বাগেরহাট।
ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনার প্রতি আকর্ষণ থাকলে বাগেরহাট হতে পারে আপনার অন্যতম প্রিয় স্পট। পূর্বে খলিফাতাবাদ নামে পরিচিত এই শহর ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বিভিন্ন সময়ে তৈরি বিখ্যাত কিছু মসজিদের অবস্থান বাগেরহাটে বলে এই শহরকে ‘মসজিদের শহরও’ বলা হয়।
যাওয়া ও থাকার উপায়
ঢাকা থেকে বাগেরহাটে খুব সহজেই পৌছানো সম্ভব। গাবতলী বা সায়দাবাদ স্ট্যান্ড থেকে বাগেরহাটগামী অনেক বাস রয়েছে। ভাড়ার পরিমাণ ৪০০-৫৫০ টাকা। আগে থেকে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে আপনার সময় অনুযায়ী বাসের টিকিট কেটে নিয়ে আসতে পারেন। বাগেরহাটে থাকার জন্যও সুব্যবস্থা রয়েছে। আপনি বাগেরহাট পৌঁছানোর পর বিভিন্ন হোটেলের খবর নিতে পারবেন। এছাড়া আপনি প্রয়োজনে বাগেরহাট থেকে খুলনা গিয়েও হোটেলে থাকতে পারেন। বাগেরহাট থেকে বাসে করে খুলনা যেতে আপনার ৪০-৪৫ মিনিট সময় লাগতে পারে।
দর্শনীয় স্থান
ষাট গম্বুজ মসজিদ
বাগেরহাটের প্রধান আকর্ষণ নিঃসন্দেহে ষাট গম্বুজ মসজিদ। এটি পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয়। ধারণা করা হয় এর নির্মাতা খান জাহান আলি (রঃ)। মসজিদটির অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী আপনাকে মুগ্ধ করবে। মসজিদের কমপ্লেক্সের সাথে একটি মিউজিয়াম রয়েছে। মিউজিয়ামে আপনি মসজিদ ও বাগেরহাটের সাথে সংযুক্ত নানা ধরনের প্রাচীন নিদর্শন দেখতে পাবেন।
খান জাহান আলীর মাজার
ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে এই মাজারের দূরত্ব খুব বেশি নয়। মসজিদ থেকে অটোতে করে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মাজারে পৌঁছে যেতে পারবেন। মাজার ও মাজার সংলগ্ন বিশাল দীঘিটি দেখতে ভীড় জমায় হাজার হাজার শরনার্থী।
বিবি বেগনী ও চুনাখোলা মসজিদ
ষাট গম্বুজ মসজিদের পিছন দিকে বিবি বেগনী মসজিদ অবস্থিত। এটি খান জাহান আলীর এক স্ত্রীর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আরও একটু দূর গেলে রয়েছে চুনাখোলা মসজিদ।
সিংগাইর মসজিদ
ষাট গম্বুজ মসজিদের পাশে যে মূল রাস্তা সেটি পার হলেই দেখতে পাবেন সিংগাইর মসজিদ। এটিতে একটি গম্বুজ রয়েছে।