দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক মসজিদের দানবাক্স চুরি করে চোর তার ভেতর চিঠিতে যা লিখে গেলেন তা শুনলে আপনিও অবাকা হবেন! তাহলে কী লিখে গেলেন ওই চোর?
পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবের জামিয়া মসজিদ সাদিকুল মদিনা নামে একটি মসজিদের ঘটনা এটি। ওই চুরির পাশাপাশি চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর হতেই মসজিদে আগতদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। মসজিদের দানবাক্স হতে ৫০ হাজার টাকা এবং ব্যাটারি চুরি করেই ক্ষান্ত হয়নি চোর। চম্পট দেওয়ার আগে একটি চিঠি লিখে গেলেন। তাতে চোর লিখে গেলেন, ‘এ বিষয়ে অন্য কারও নাক গলাবার মোটেও প্রয়োজন নেই। কারণ, এটা আল্লাহ ও তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।’
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছেন, মসজিদের দু’টি দানবাক্স উধাও। তাছাড়া ইনভার্টারের একটি ব্যাটারিও নেই। দু’টি বাক্সে ছিল প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।
চিঠিতে লেখা, বিষয়টি আল্লাহ এবং তার মধ্যেকার ব্যাপার। অন্য কারও এই নিয়ে মাথাব্যথার প্রয়োজন নেই। সুতরাং, কেও যেনো তার খোঁজ না করেন। এখানেই শেষ নয়, আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযুক্ত চোর জানায়, সে খুবই গরিব। এর আগেও একবার সাহায্য চাইতে জামিয়া মসজিদে এসেছিল। সে সময় তার নাকি খুব খারাপ অভিজ্ঞতাও হয়েছিল।
চোরের অভিযোগ, মসজিদের ইমামের কাছে সাহায্য চাইলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই মসজিদে এসে সাহায্য না পেয়ে বাধ্য হয়েই এখানে চুরি করেছে সে।
নিজেকে বাঁচাতে অভিযুক্ত আরও বলেছে, সে কারও বাড়িতে চুরি করেনি; আল্লাহর বাড়িতে চুরি করেছে। তাই বিষয়টি পুরোপুরি দু’জনের মধ্যেকার।
ওই চিঠিটি পড়ে স্থানীয়রা হতবাক। অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য মসজিদের মৌলভীর কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তারা। কিন্তু মসজিদের ইমাম সাহেব তার সিদ্ধান্তে অনড়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান তিনি। তবে অভিযুক্তের সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি ইমাম সাহেব।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই ধরনের ঘটনা পাকিস্তানে এবারই নতুন নয়। গত বছর রমজানের সময় পাকিস্তানের জাহানাইনে প্রায় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় হাসমাইন করিমাইন মসজিদ হতে কলের ট্যাপ চুরি করে একই কায়দায় চিঠি লিখে রেখে যান অভিযুক্ত। চুরির সাফাই দিতে গিয়ে সেই অভিযুক্ত লিখেছিল, তার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। হাল ফিরলে সে ওই অর্থ আবার ফিরিয়ে দেবে সে।