দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি আরব অবৈধ শ্রমিকদের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আরেও ৩০ দিন বৃদ্ধি করেছে। ২৫ জুন হতে পবরর্তী এক মাস অর্থাৎ ২৫ জুলাই পর্যন্ত এই সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়, রিয়াদ এবং জেদ্দা চেম্বার অব কমার্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে সৌদি বাদশা এই মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন।
জানা যায়, দেশটির পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ আল- ইয়াহিয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সৌদ বিন নাইফের উদ্বৃতি দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সি এই খবর দিয়েছে।
জানানো হয়েছে, বর্ধিত এই সময়ের মধ্যে অবৈধ বিদেশী শ্রমিকরা সৌদি আরব ছাড়লে তাদের কোনো জেল-জরিমানা হবে না।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গত ২৯ মার্চ পরবর্তী ৯০ দিনের জন্য ওই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই ৫ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগে সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বৈধ কাগজপত্রহীন ১৯ হাজার ৮৩৩ বাংলাদেশী ইতিমধ্যেই সাধারণ ক্ষমার সুযোগে দেশে ফিরেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী কোনো অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লে তাকে জরিমানা কিংবা শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আউট পাস ও এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করে দেশে ফেরত না গেলে ১ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা ও ২ বছর কারাদণ্ড হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির অভিবাসন দপ্তর।
জানা গেছে, জরিমানা ও ২ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফেরত পাঠানোর পূর্বে আঙুলের ছাপ রেখে দেওয়া হয়, যাতেকরে ওই ব্যক্তি ভবিষ্যতে আর সৌদি আরবে কাজের জন্য যেতে না পারেন। অপরদিকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ যারা নেবেন, তাদের কোনো শাস্তি ছাড়াই দেশে ফেরার সুযোগ থাকবে। তাছাড়া তাদের আঙুলের ছাপও নেওয়া হবে না। যে কারণে ভবিষ্যতে তাদের কাজ নিয়ে বৈধভাবে সৌদি আরবে আসার সুযোগও থাকবে।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ১৩ লাখ বাংলাদেশী সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন, যারমধ্যে অন্তত ৬০ হাজার নারী গৃহকর্মী হিসেবে সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন।