দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভ্রূণের ২৬ সপ্তাহের অর্থাৎ ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। স্থানীয় সংবাদপত্রে এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে জানা যায়, অস্বাভাবিক ভ্রূণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোলকাতার শেঠ সুখলাল কারনানি মেমোরিয়াল হাসপাতালের (এসএসকেএম) মেডিকেল বোর্ডের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত গত সোমবার ৬ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইদিন বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং এম খানউইলকরের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই অনুমতি দেন। এর আগে গত ২৩ জুন আদালত এসএসকেএমের ৭ সদস্যের চিকিৎসক দলের একটি বোর্ডকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর গর্ভের ভ্রূণে অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, শিশুটির জন্মের পরপরই এক কঠিন অস্ত্রোপচার করতে হবে। এরপরও শিশুটিকে বাঁচানো যাবে কি না, সেটিও নিশ্চিত নয়। চিকিৎসকের এমন কাগজপত্র নিয়ে গর্ভপাত করানোর অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দেশটির বারাসতের এক দম্পতি। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জুন আদালত এসএসকেএমের ৭ সদস্যের চিকিৎসক দলের একটি বোর্ডকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। ওই নারীর স্বাস্থ্যের সঙ্গে গর্ভপাত কতোটা যৌক্তিক, তাও দেখতে বলা হয়েছিল। ২৯ জুনের মধ্যে হাসপাতালকে প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছিল আদালতের নির্দেশনায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কাছেও মতামত জানতে চেয়েছিলেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ মতামত দিয়ে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা ওই নারীকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
উল্লেখ্য, ভারতীয় আইনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহ পর গর্ভপাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই বিষয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশনও দাখিল করা হয়। এই পিটিশন দাখিল করা ব্যক্তিদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা কয়েকজন নারীও রয়েছেন, যারা ২০ সপ্তাহ পর গর্ভপাত করাতে ইচ্ছুক। এই বিষয়টি আদালত সব সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের ওপর দেয়।