দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ট্রাফিক জ্যামের কারণে কি শুধু ঢাকার বাসিন্দাদেরই ভোগান্তি হয়? না, মোটেই নয়। পৃথিবীর বহু শহরেই জ্যামের কারণে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। আর এই সমস্যা এড়াতে অনেকেই বেছে নেন অভিনব সব উপায়।
জার্মানির মিউনিকে ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হয় বহু মানুষকে। তবে বেঞ্জামিন ডেভিড নামের ৪০ বছরের এক ব্যক্তি এমন এক পন্থা বেছে নিয়েছেন যার জন্য তাকে পোহাত হয় না এই জ্যামের ঝামেলা। তিনি সকালে সরাসরি ঝাঁপ দেন ইসার নামের এক নদীতে, এবং দুই কিলোমিটার সাঁতরে চলে যান কালটারস্ট্রান্ডে অবস্থিত তার অফিসে।
বেঞ্জামিন পূর্বে মিউনিকের অনেক অধিবাসীর মতোই অফিসে যেতেন গাড়িতে বা সাইকেলে করে। কিন্তু এক পর্যায়ে তিনি জ্যামের কারণে অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করতে থাকেন। এরপর থেকে তিনি অফিসে যাওয়ার একটি বিকল্প পথের কথা চিন্তা করতে শুরু করেন। শেষ অব্দি তিনি বেছে নেন সাঁতরে অফিসে যাওয়ার উপায়।
ইসার নদীটি বেঞ্জামিনের অ্যাপার্টমেন্টের কাছেই অবস্থিত। ফলে সহজেই এই নদীতে সাঁতার কেটে অফিস যাওয়ার কথা মাথায় আসে তার, যদিও নদীটি যাতায়াতের জন্য তেমন ব্যবহৃত হতো না। গত দুই বছর ধরে সাঁতরেই অফিসে যাচ্ছেন বেঞ্জামিন।
সাঁতরে অফিসে পৌঁছাতে বেঞ্জামিনের সাধারণত আধা ঘন্টা সময় লাগে। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর তিনি গা মুছে টি-শার্ট পরে চলে যান অফিসে। যে সময়ে তিনি অফিসে পৌঁছান তখন তার সহকর্মীরা অফিসে এসে পারে না।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনার জন্য বেঞ্জামিন ব্যবহার করেন এমন একটি বিশেষ ব্যাগ যাতে রাখা হলে সহজে কিছু ভেজে না। এই ব্যাগটিকে বন্ধ করলে এর মধ্যে বাতাস আটকা পড়ে, যার কারণে এর উপর ভর করে পানিতে ভেসে থাকা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে সাঁতার কাটার পর বেঞ্জামিন যখন ক্লান্ত বোধ করে তখন ব্যাগটির উপর ভর করে জিরিয়ে নিন কিছুক্ষণ।
বর্তমানে মিউনিকে এই নদীটি যাতায়াত করার জন্য ব্যবহার করে না কেউই। তবে প্রতি বছর মিউনিকে ৩০,০০০ নতুন বাসিন্দা যোগ হচ্ছে, ফলে ভবিষ্যতে রাস্তার ট্র্যাফিক জ্যাম আরও বাড়বে নিঃসন্দেহে। এই কারণে বেঞ্জামিন মনে করেন, ভবিষ্যতে আরও মানুষ তার পথ বেছে নেবে। তবে এই ভিন্ন পথ বেছে নেওয়া ব্যক্তি কেবল বেঞ্জামিন নয়। ট্রাফিকের ঝামেলা এড়াতে এই উপায় বেছে নেওয়া আর কিছু ব্যক্তির কথা শোনা গেছে অন্য কিছু দেশে।
তথ্যসূত্র: www.odditycentral.com