দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারা বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক লিওনার্দোর অক্সার প্রাপ্তির জন্য যতোটা প্রার্থনা করেছিল, লিওনার্দো নিজেও মনে হয় অতোটা করেননি। এমনটাই হলো তার জনপ্রিয়তা। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে তিনি এখন হলিউডের প্রথম সারির একজন অভিনেতা। তার সম্পর্কেই আজ থাকছে কিছু তথ্য।
- লিওনার্দোর নাম রাখা হয়েছিল বিখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির নাম অনুসারে। বলা হয়, লিওনার্দো গর্ভে থাকা অবস্থায় একদিন তার মা ভিঞ্চির আঁকা ছবি দেখছিলেন। ওই সময় লিওনার্দো তার পেটে লাথি মারে! এই ঘটনার পর নাকি তার নাম লিওনার্দো রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
- লিওনার্দোর বাবা একজন জার্মান-ইতালিয়ান ও মা একজন জার্মান। তিনি শৈশবের একটি সময় জার্মানিতে কাটিয়েছেন। এ জন্য তিনি বেশি ভালো জার্মান বলতে পারেন।
- লিওনার্দো অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার নামক একটি মানসিক রোগে সারা জীবন ভুগেছেন। দ্য অ্যাভিয়েটর নামক সিনেমায় তিনি এই রোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
- লিওনার্দো জীবনে কখনোই মাদক দ্রব্য সেবন করেননি। দ্য উলফ অফ ওয়াল স্ট্রিট সিনেমায় মাদকসেবীর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য তাকে মাদকদ্রব্য গ্রহণের উপর প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল।
- লিওনার্দো টাইটানিক সিনেমায় যে হেয়ার কাট দিয়েছিলেন সেটি তৎকালীন তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়। ওই কাট দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হয় ২৮ জন নাপিতকে।
- দ্য রেভন্যান্টে অভিনয় করার জন্য লিওনার্দো মৃত পশুর সাথে শুয়েছিলেন এবং বাইসনের কাঁচা লিভার খেয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, লিওসার্দো স্বাভাবিকভাবে একজন নিরামিশাষী।
- অভিনয়ের পাশাপাশি লিওনার্দো একজন নিবেদিত পরিবেশ রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি এ জন্য একটি সংগঠন গড়ে তোলেন, এবং এ পর্যন্ত এতে তিনি ৩০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন।
- ২০১৩ সালে নেপালের বাঘ রক্ষার জন্য তিনি ৩ মিলিয়ন ডলার দান করেন।
- স্পাইডারম্যান খ্যাত টোবি ম্যাগুয়রে হল লিওনার্দোর বাল্যকালের বন্ধু।
- এক বার হাঙরের আক্রমণ থেকে তিনি সামান্যের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন।