দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বাদানুবাদ শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায় তা নিয়ে বেশ সংশয় দেখা দিয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে এই বাদানুবাদ আবার সত্যি সত্যিই যুদ্ধ পর্যন্ত না গড়ায়। সর্বশেষ খবর হলো উত্তর কোরিয়া ‘যুক্তরাষ্ট্রের উপর হামলা করতে পারে’?
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা ও পরাশক্তিদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বার বার অত্যাধুনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিটি মিসাইলের পরীক্ষা সফল হওয়ায় একদিকে উত্তর কোরিয়ার নীতি নির্ধারক পিয়ংইয়ং উচ্ছ্বসিত তেমন আত্মবিশ্বাসীও।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একের পর এক মিসাইল পরীক্ষার মাধ্যমে আমেরিকাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পিয়ংইয়ংয়ের ওপর হামলা চালানোর যে ‘বোকামিপূর্ণ স্বপ্ন’ ওয়াশিংটন দেখছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমেরিকার ওপর হামলা চালানোর হুমকি হতে পিয়ংইয়ং কখনই সরবে না।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত হুমকির জন্য এই পরীক্ষা চালাতে বাধ্য হয়েছে উত্তর কোরিয়া। এই ধরনের হুমকির কারণে দেশটি নিজের সমরাস্ত্র কর্মসূচি শক্তিশালী করেছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একাধিকবার উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। সেইসঙ্গে তিনি চীনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রতিশ্রুতি বেইজিং দিয়েছিল সেটি তারা বাস্তবায়ন করছে না।
ট্রাম্পের ওই হুমকির মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়া ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি পাল্লার একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়ে জানিয়েছে, গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আওতায় চলে এলো। উত্তর কোরিয়া দৃশ্যত এই পরীক্ষার মাধ্যমে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া পিয়ংইয়ং বিরোধী নিষেধাজ্ঞারও জবাব দিলেন।
বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া আরও জানিয়েছে, দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি হতে ওয়াশিংটনকে সরে আসতে হবে। ওই বিবৃতিতে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে অর্থহীন বক্তব্য দেওয়া হতে মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।