দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো সাম্প্রতিক সময় অদ্ভুত ও দীর্ঘতম নাম রাখায় নানা ধরনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত চীন সরকার এসব অদ্ভুত আর অতিদীর্ঘ নাম নিষিদ্ধ করেছে!
কখনও এমন নাম রাখা হয়, ‘বেইজিং অ্যাফ্রেইড অব ওয়াইফ টেকনোলজি’ বা ‘হোয়াট ইউ লুকিং অ্যাট টেকনোলজি’—আবার কখনও কোনো প্রতিষ্ঠানের এমন নাম দেখলে আক্কেলগুড়ুম হবে অনেকেরই। প্রথম নামটির অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘স্ত্রী প্রযুক্তির আতঙ্কে বেইজিং’! দ্বিতীয়টির অর্থ হলো ‘প্রযুক্তিতে আপনি কী দেখেন’। বিশ্বের অন্য কোথাও এমন নামের প্রতিষ্ঠানের দেখা মিলবে কি না সন্দেহ। তবে চীনে সাম্প্রতিক সময় এমন সব অদ্ভুত এবং হাস্যকর নামের ছড়াছড়ি।
চীন হলো বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ। প্রযুক্তি ও অর্থনীতির এই উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে অদ্ভুত এবং হাস্যকর দীর্ঘ নামের প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের সংখ্যাও। এবার একটু দেরিতে হলেও হুঁশ ফিরেছে চীন সরকারের। সম্প্রতি জারি করা নতুন এক আইনে বলা হয়েছে যে, অদ্ভুত ও অতিদীর্ঘ নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন দেওয়া হবে না।
সম্প্রতি চীন সরকার দুর্বল ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ডগুলো অপসারণ-প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। চীনের এই দুর্বল ইংরেজিকে বলা হয় ‘চিংলিশ’। দুর্বল ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ড সরানোর এই উদ্যোগের পরই প্রতিষ্ঠানের নামের ব্যাপারে কঠোর হয়েছে বেইজিং।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র দ্য লিগ্যাল ডেইলী আরও কিছু অদ্ভুত ও হাস্যকর নামের উদাহরণ দিয়েছে। যেমন: ‘সাংহাই ওয়াইফ বিগেস্ট ইলেকট্রনিক কমার্স’, ‘হ্যাংঝৌ নো ট্রাবল লুকিং ফর ট্রাবল ইন্টারনেট টেকনোলজি’। অপরদিকে কনডম বাজারজাতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দেয়ার ইজ আ গ্রুপ অব ইয়ং পিপল উইথ ড্রিমস, হু বিলিভ দ্য ক্যান ক্রিয়েট ওন্ডার্স অব লাইফ আন্ডার আঙ্কল নিউ’স লিডারশিপ ইন্টারনেট টেকনোলজি’ র মতো নাম।
এ মাসে চীনের শিল্প এবং বাণিজ্যবিষয়ক প্রশাসন এসব অদ্ভুত নাম নিষিদ্ধ করেছে। তাছাড়া আক্রমণাত্মক, বর্ণবাদী, ধর্মীয় কিংবা রাজনীতির ছোঁয়া রয়েছে—এমন নামও দেশটি নিষিদ্ধ করেছে। তবে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনটি ‘দ্য বিগ আন্ডারপ্যানটস’ নামে পরিচিত। কর্তৃপক্ষ এই নামের বিষয়টি কী করে, এখন সেটিই দেখার রয়েছে।