দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সন্ত্রাসী পরিকল্পনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশী নাগরিক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে ৯ই আগস্ট।
অনলাইন পত্রিকা সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশী কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের বিরুদ্ধে সিটির ব্রুকলিনে অবস্থিত ইস্টার্ন ফেডারেল কোর্টের প্রধান বিচারক ক্যারল এমনের কোর্টে এই মামলা চলছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে নাফিসের শাস্তি ঘোষণার কথা থাকলেও তার আইনজীবী এটর্নি হেইডি সি. সিজার সময়ের আবেদন করেন। এটর্নি হেইডি সি. সিজার বিচারক ক্যারল অ্যামনের কাছে বলেন, নাফিসের শাস্তির আগে এর বিভিন্ন বিষয়কে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। বিশেষ করে গুরুতর এই অপরাধের দণ্ড ঘোষণার আগে সে এ ধরনের শাস্তির জন্য প্রস্তুত কিনা সেটা পরীক্ষা করা উচিত। এজন্য তার মানসিক ও ফরেনসিক বিষয়কে পর্যালোচনা করতে সময়ের প্রয়োজন। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এসবের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হবে বলে জানা গেছে। নাফিসের আইনজীবীর আবেদনের পর বিচারক ক্যারল শাস্তি ঘোষণার নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
এফবি আইয়ের ফাঁদে পড়ে সন্ত্রাসী পরিকল্পনা ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রসিকিউটর লরেট ই. লিঞ্চ এক বিবৃতিতে বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করেই নাফিস যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিল। এফবি আইয়ের স্টিং অপারেশন এ ধরনের সন্ত্রাস বন্ধ করার সর্বোত্তম কৌশল। এফবিআই নাফিসকে গ্রেফতারের পর ঢাকায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সে ষড়যন্ত্রের শিকার।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসের জন্য দোষ স্বীকার করে নেয়ায় তার ৩০ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নাফিসের আইনজীবী শাস্তির মেয়াদ কমানোর জন্য প্রসিকিউশনের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার সন্ত্রাসী পরিকল্পনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশী কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস (২১) দোষ স্বীকার করেছেন। নাফিসের বর্তমান বয়স ২১ বছর। এ হিসেবে ৩০ বছরের কারাদণ্ড হলে ৫১ বছর বয়সে কারামুক্ত হবেন তিনি। তিনি বলেন, নাফিস বোমা বানানোর কৌশল নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল। এজন্য উদ্দেশ্য সাধনের কোন সুযোগকেই হাতছাড়া করতে চায়নি সে। কোর্টে ছাই রঙের বিশেষ পোশাক পরে এসেছিলেন নাফিস। তার পাশে বসে শুনানিতে অংশ নেন সরকার মনোনীত ডিফেন্স এটর্নি হেইডি সিজার। শুনানি শেষে নাফিসের আইনজীবীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখন অপেক্ষা করতে হবে। এজন্য মানসিক ও ফরেনসিক পরীক্ষার ফলাফল প্রসিকিউসনের কাছে দেয়ার পর শাস্তির মেয়াদ নিয়ে বিচারকের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।