দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আকারে খুব একটা বড় না হলেও মোটামুটি তিন-চারতলা বাড়ির আকারের মতো হবে এমনই কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা। ছোট আকারের হলেও গ্রহাণুটিকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যেই আছেন বিজ্ঞানীরা। এটি অক্টোবরে পৃথিবীকে আঘাত হানতে পারে।
২০১২ সালের ১০ অক্টোবর এই গ্রহাণুটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়। হাওয়াই দ্বীপের প্যান স্টারস অবজারভেটরির টেলিস্কোপে গ্রহাণুটি ধরা পড়েছিল বৃহস্পতিবার ও শনি গ্রহের মাঝামাঝি একটি স্থানে। তারপর গত ৫ বছরে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির কোনো হদিসই পাচ্ছিলেন না। তবে খুব জোরে ছুটে আসছে গ্রহাণুটি। তার কক্ষপথও পুরোপুরিভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই গ্রহাণুটিকে নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন জ্যেতির্বিজ্ঞানীরা।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (এসা) বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, অক্টোবরের ১২ তারিখে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে এই গ্রহাণুটি। ওই সময় পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে নাকি পৃথিবীকে আঘাত করবে তা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে জ্যেতির্বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি ‘এসা’ এবং চিলিতে বসানো ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরি (ইএসও)-র ভেরি লার্জ টেলিস্কোপের যৌথ অনুসন্ধানে আবারও দেখতে পাওয়া গেছে এই গ্রহাণুটিকে। পৃথিবী হতে গ্রহাণুটি মাত্র ৪৪ হাজার কিলোমিটার দূরে আছে। অক্টোবরেই পৃথিবী হতে চাঁদ যতোটা দূরত্বে রয়েছে ঠিক তার ৮ ভাগের এক ভাগেরও কম দূরত্বে এসে পড়বে এই গ্রহাণুটি। তার কক্ষপথ এখনও ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও।
পৃথিবীর দিকে অগ্রসরমান এই গ্রহাণুটিকে নিয়ে ভয়ের প্রধান কারণ হলো মহাশূন্য হতে অসম্ভব গতিতে ছুটে আসছে। তাই আগামী ১২ অক্টোবর গ্রহাণুটি ঠিক কতোটা কাছে চলে আসবে পৃথিবীর বা শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে কিনা, এখনও সে বিষয়ে খুব সুনিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে ‘এসা’র পক্ষ হতে জানানো হয়েছে। গ্রহাণু ‘২০১২ টিসি-৪’ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়লে তা ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জ্যেতির্বিজ্ঞানীরা।