দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোরবানী ঈদ এলেই গরু নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়। কে কার থেকে বড় গরু কিনবেন বা কার থেকে কতো বড় গরু হাটে বা বাজারে তোলা যায় তা নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এবারের কোরবানির হাটে উঠছে ৩৯ মণ ওজনের ষাড় ‘রাজা বাবু’!
জানা গেছে, ৩৯ মণ ওজনের ‘রাজা বাবু’র বাড়ি মানিকগঞ্জ। সেখানকার মানুষজন ভিড় করছেন ‘রাজা বাবু’কে এক নজর দেখার জন্য। এবার কোরবানী হাটে তাকে তোলা হবে। ৩৯ মণ ওজনের ষাঁড় গরু লালন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের পরিষ্কার বিবি ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ইতি।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির হাটে ওঠানোর জন্য খুব আদর-যত্নে ‘রাজা বাবু’কে বড় করেছেন ইতি এবং তার মা। এক বছরেই ষাঁড়টির ওজন বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৫৬০ কেজি যা মন হিসেবে ৩৯ মণ!
জানা গেছে, প্রতি বছরই তারা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ করে লাভবান হন। কিন্তু এবার তাদের এই বিশাল গরু বেশ চমক ফেলে দিয়েছে। ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়টিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করে তুলেছেন মা ও মেয়ে।
ইতির মা পরিস্কার বিবি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাজা বাবুর মাথার ওপর দিয়ে রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ চালিত দু’টি ফ্যান। বিদ্যুৎ না থাকলে নিজেরাই হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে থাকেন, যাতে ‘রাজা বাবু’র কোনো সমস্যা না হয়। খুব যত্ন নেন ‘রাজা বাবু’র। প্রতিদিন দুপুরে একই সময়ে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে পুরো শরীর মুছে দেন ‘রাজা বাবু’র। দিনের বিভিন্ন সময় ব্যায়ামও করাতে হয় ‘রাজা বাবু’কে। ঈদের বাকি রয়েছে মাত্র কয়েকদিন। বিদায় দিতে হবে তাদের আদরের ষাঁড়কে। সেজন্য বেশ কষ্টও লাগে ইতি ও ইতির মা’র। হাটে তুলা হবে ‘রাজা বাবু’কে। তাই ‘রাজা বাবু’কে নিয়ে এখন অনেক ব্যস্ত ইতি ও তার মা।
তারা জানিয়েছেন, গত বছর কোরবানি ঈদের সময় ২৭ মণ ওজনের একটি ষাঁড় ১০ লাখ টাকা বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তারা। অবশ্য ১০-১২ বছর পূর্ব হতেই পরিষ্কার বিবি ও তার স্বামী খান্নু মিয়া গরু লালন-পালন করে আসছেন। তারা নিজের মতো করে দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করেন। কোনো কৃত্রিম কিছু খাওয়ান না গরুকে। আদর ও যত্ন করেই বড় করেন গরু। তারপর ঈদের সময় বিক্রি করেন। তবে এবারের ‘রাজা বাবু’ স্পেশাল বড় হয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে।