দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রহার না করার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকে। তারপরও এমন ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। তবে এই ঘটনাটি আমাদের দেশে নয়, ভারতের ঘটনা। ক্লাসে রোল ডাকার সময় না দাঁড়ানোয় ৪০টি চড় মেরেছেন এক শিক্ষিকা!
শিশুটি একমনে ক্লাসে বসে ছবি আঁকছিল। তাই সে শুনতে পায়নি যে তার রোল ডাকা হচ্ছে। শিশু শিক্ষার্থীর এমন ‘বেয়াদবি’ একেবারেই সহ্য হয়নি এক শিক্ষিকার। তৃতীয় শ্রেণীর এই অবোধ শিশুটিকে তাই ডেকে নিয়ে সপাটে চড় কষালেন ওই শিক্ষিকা। তবে সে চড় একটি বা দুটি নয়, ৪০টি চড়! একপর্যায়ে রাগে ক্ষোভে চুলের মুঠি ধরে ব্ল্যাকবোর্ডে মাথাও ঠুকে দেন ওই শিক্ষিকা।
সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের লক্ষ্ম্যৗ এর উত্রেথিয়া অঞ্চলের সেন্ট জন ভিয়ানে হাইস্কুলে। ওই স্কুলের শিক্ষিকা রেতিকা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির জন্য রোল ডাকছিলেন। শিশুটি ছবি আঁকায় ব্যস্ত থাকায় খেয়াল করেনি। সে উঠে না দাঁড়ানোয় রেগে আগুন হয়ে যান শিক্ষিকা রেতিকা। শিশুটিকে ডেকে তার গালে একের পর এক চড় মারতে থাকেন ওই শিক্ষিকা। এতেও রাগ দমে না তার। শিশুটির জামার কলার ধরে টেনে, চুলের মুঠি ধরে ব্ল্যাকবোর্ডে মাথা অবধি ঠুকে দেন শিক্ষিকা রেতিকা!
তবে ওই শিক্ষিকার কপাল খারাপ। কারণ ওই স্কুলটিতে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। শিশুছাত্রের সঙ্গে রেতিকার এই কীর্তিগুলো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। মারধরের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।
স্কুল হতে বাড়ি ফেরার পর ছেলের লাল হয়ে যাওয়া গাল নজরে আসে তার মা-বাবার। তারা ছেলের সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন নির্যাতনের কথা। পরে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানালে তিনি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনার প্রমাণ পান।
স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে স্কুল হতে। যদিও কৃতকর্মের জন্য ছাত্রটির মা-বাবার কাছে ক্ষমা চান ওই শিক্ষিকা। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। রেতিকার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রের পরিবার।