দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই ভূতের ভয় পাই। আবার আমরা এও বলে থাকি যে, ভূত বলে কিছু নেই। কিন্তু তারপরও কেনো এতো ভয়? তাছাড়া কি দেখে আমরা ভূতের ভয় পাই? আজ সে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে।
পৃথিবীর সৃষ্টি থেকেই প্রচলিত একটি বিষয় রয়েছে। আর তা হলো ভূত। আমরা অনেকেই ভূতের ভয়ে জড়োসরো হয়ে পড়ি। বিশেষ করে ভূতের কোনো সিনেমা বা নাটক রাতে দেখলে বা শুনলে আমাদের মধ্যে এক ধরনের ভয়ের কাজ করে। কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত একটি উক্তি রয়েছে আর তা হলো ভূত বলে কিছু নেই।
তাছাড়া ভূতের অস্তিত্ব বিষয়ে কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি আজ পর্যন্ত। তবে যারা ভূতের ভয় পান, তাদের জন্য ভূতের ভয়টা অমূলক নয়। বাস্তবে আমরা দেখতে পাই খুব কম মানুষই ভূত রয়েছে- এমন কথা বিশ্বাস করেন। তবে ভূতের ভয় পায় এমন মানুষের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। ভূতের ভয় পেলেও অনেকে খুব আগ্রহ নিয়ে ভূতের গল্প পড়ে থাকে বা ভূতের সিনেমা দেখে। কারণ এটা তাদের জন্য এক ধরনের রোমাঞ্চকর অনুভূতি! ভূতের ভয় পেলেও ভয়টা তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকে। তবে ভয়টা যখন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, স্বাভাবিক ভয়ের মাত্রাকে অতিক্রম করে ফেলে, তখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, তখন সেটি থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে।
অহেতুক ভূতের ভয় সৃষ্টি করে এমন কিছু জিনিস আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশে রয়েছে। কী সেগুলো? আজ জেনে নিন। কারণ হলো এগুলো জানা থাকলে আপনি হয়তো সাহস সঞ্চয় করতে পারবেন।
পুরনো দিনের আয়না
আমাদের ঘরে থাকতে পারে পুরনো দিনের আয়না। যাতে দাগ পড়ে গেছে। চারপাশ দিয়ে রয়েছে পুরোনো দিনের কাজ করা। এই আয়নায় মুখ দেখার সময় আপনার মনে ভয় আসতে পারে। তাই পুরোনো আয়না পরিহার করুন।
পুরনো খেলনা
পুরনো খেলনাও অনেক সময় ভূতের ভয়ের কারণ হতে পারে। কনজিউরিং সিনেমাটা যারা দেখেছেন তাদের কাছে পুরনো খেলনা সত্যিই ভয়ানক।
পুরনো পুতুল
পুরনো পুতুলও অনেক সময় ভূতের ভয়ের বিষয়ে পরিণত হয়। পুরনো পুতুল রাতের অন্ধকারে দেখলে যে কেও ভয় পেতে পারে সেটিই স্বাভাবিক। আবার ভূতের ছবিগুলিতেও পুতুলদের প্রাধাণ্য দেওয়া হয়, তাতে সেই কথা মাথায় আসতে পারে যে কোনো সময়। তাই এইসব পুরোনো পুতুলগুলো হাতের কাছে না রেখে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখাই ভালো।
বিদঘুটে কোনও ছবি
বিদঘুটে কোনও আঁকা ছবি যদি দেওয়ালে টানানো থাকে তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সেই ছবির দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনার গলা শুকিয়ে যায়। তাই এমন বিদঘুটে ছবিগুলো এমন স্থানে রাখুন যাতে রাতের বেলায় সেগুলো চোখে না পড়ে।
ঘুঙুর বা নূপুর
ঘুঙুর বা যাকে আমরা নূপুর বলি। এই ঘুঙুরের সঙ্গে ভূতের গল্পের অনেক সিনেমা বা নাটকের সঙ্গে মিল আছে। এগুলোও আপনার ভূতের ভয়ের কারণ হতে পারে। সিনেমা-নাটকে দেখা যায় ভূতকে ঘুঙুর পড়ে হাঁটতে। দেখা যায় কোনো মহিলা মারা যাওয়ার পর ভূত হয়ে গেছেন। তখন ঘুঙুর পরে রাতে সেখানে আসেন। তাই যদি আপনার ঘরে ঘুঙুর থাকে তাহলে সেগুলো সরিয়ে রাখুন।
কাঠের দোলনার চেয়ার
কাঠের দোলনার চেয়ার নিয়ে সমস্যা হতে পারে যে কারও। কারণ সিনেমা-নাটকেও এমন অনেক সময় দেখা গেছে কাঠের দোলনায় ভূত দোল খাচ্ছে! আবার দেখা যায় কেও বসে নেই, অথচ দোলানাটি দুলছে। বহু সিনেমাতেই এই দৃশ্যগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই দোলনা চেয়ার যদি সত্যিই ঘরে থাকে তাহলে অন্তত রাতের বেলায় সেটি দূরে রাখুন।