দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০১৭ খৃস্টাব্দ, ২১ আশ্বিন ১৪২৪ বঙ্গাব্দ, ১৫ মুহররম ১৪৩৯ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি ঐতিহাসিক মির্জাপুর শাহী মসজিদ। মোগল আমলের প্রাচীন নির্দশন হলো পঞ্চগড়ের এই মির্জাপুর শাহী মসজিদ।
আমাদের দেশে যতো পুরনো কীর্তি রয়েছে, তারমধ্যে এটি হলো অন্যতম। সঠিক তথ্য জানা না থাকলেও আনুমানিকভাবে ধারণা করা হয় যে শাহী মসজিদের বয়স প্রায় ৩৭০ বছর। শাহী মসজিদের দেওয়াল হতে উদ্ধারকৃত শিলালিপি প্রমাণ করে যে, এই মসজিদটি ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছে।
৩ গম্বুজবিশিষ্ট এই মির্জাপুর শাহী মসজিদটি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে অবস্থিত। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের এই মসজিদটি মোগল স্থাপত্য রীতির বৈশিষ্ট্যেপূর্ণ।
এই মসজিদের সুসজ্জিত গম্বুজের শীর্ষবিন্দু ক্রমহ্রাসমান বেল্ট দ্বারা যুক্ত। গম্বুুজের চার কোণায় ৪টি মিনার রয়েছে। সামনের দেওয়ালে দরজার দু’পাশে গম্বুজের সঙ্গে মিল রেখে দু’টি মিনার দৃশ্যমান। এর চার দেওয়ালে ইসলামি টেরাকোটা ফুল ও লতাপাতার নকশায় পরিপূর্ণ করা।
এই মসজিদের দেওয়ালে ব্যবহার করা ইটগুলো চিকন, রক্তবর্ণ ও বিভিন্নভাবে অলঙ্কৃত করা। দেওয়ালের মধ্যবর্তী দরজায় ফারসি লিপি খচিত ক্ষুদ্র কালো ফলক সংস্থাপিত। ফলকের ভাষা এবং লিপি অনুযায়ী বোঝা যায়, এই মসজিদটি মোগল সম্রাট শাহ আলমের শাসন আমলে নির্মিত।
মসজিদের সামনে ৩টি বড় দরজা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালে কারুকার্য ও বর্ণিল নকশা করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে খোদাই করা ফুল, লতাপাতা এবং কুরআনের আয়াত সংবলিত ক্যালিগ্রাফি তুলির ছোঁয়ায় সুসজ্জিত রয়েছে। এসব খোদাই করা কারুকার্য বিভিন্ন রঙে বিভিন্নভাবে সাজানো রয়েছে।
এসব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে মসজিদে আগত মুমিন বান্দার হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। শাহী মসজিদের অভ্যন্তরে মুমিন বান্দা যখন ইবাদতে মশগুল থাকেন, তখন তার কান্ত মন এক প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। এই ধরনের কারুকার্যমণ্ডিত নকশা ইরানের মসজিদ এবং প্রাচীন অট্টালিকার মধ্যে বিদ্যমান।
তথ্য: http://www.dailynayadiganta.com এর সৌজন্যে।