দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেভাবে নিরপরাধ মানুষদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তাতে মিয়ানমারও রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতায় ফলও পেতে শুরু করেছে। মিয়ানমারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হতে পিছিয়ে গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতায় সমগ্র বিশ্ব যেনো স্তব্ধ। লক্ষ লক্ষ মানুষের উপর এমন নির্মম নির্যাতন চালানো যায় সেটি দেখে বিশ্ববাসী যেনো স্তম্ভিত। এমন এক পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হতে পিছিয়ে গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই চুক্তি করতে মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট একটি কমিটির। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে কমিটির সেই সফর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে।
কবে নাগাদ আবার প্রতিনিধিদল মিয়ানমার যাবে তাও এখন নিশ্চিত নয়। যে কারণে মিয়ানমারে ইইউয়ের বিনিয়োগ সংক্রান্ত এই চুক্তিটি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মিয়ানমারের মধ্যে ‘ইনভেস্টমেন্ট প্রটেকশন এগ্রিমেন্ট’ (আইপিএ) বা চুক্তি স্বাক্ষর অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে মিয়ানমার যাওয়ার কথা ছিল ইইউ একটি প্রতিনিধি দলের।
কমিটি অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব দ্য ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট ঘোষণা করে, তারা মিয়ানমার সফর স্থগিত করেছে। ইইউ-মিয়ানমারের মধ্যে বিনিয়োগসংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই অবস্থান পরিবর্তনের মূল কারণ হলো মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা।
এ-সংক্রান্ত ইইউয়ের কমিটির বার্নড ল্যাঙ্গ বলেছেন, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধিদলের সফর স্থগিত থাকবে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক এবং মানবাধিকার বিষয়ক পরিস্থিতিতে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট (ইপি) ১৪ সেপ্টেম্বর একটি রেজলুশন অনুমোদন করে। ইইউ-মিয়ানমারের মধ্যে কার্যকর বিনিয়োগ চুক্তি অনুমোদন করেনি ওই রেজুলেশন। তাই অজ্ঞাত সময় পর্যন্ত প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে পাঠানো স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইপির ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিটি।
তিনি আরও বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে যে, মিয়ানমারের সঙ্গে বিনিয়োগ বিষয়ক চুক্তি করা সম্ভব নয়। মিয়ানমারের ভেতরে অবস্থানরত ইউরোপীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এক সূত্র বলেছেন, মিয়ানমারে এসব পরিস্থিতি বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির কারণে প্রতিনিধিদল তাদের সফর বাতিল করেছেন। এই চুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বড় চুক্তি হওয়ার কথা ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মিয়ানমারের মধ্যে।