দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপেক ও আসিয়ান সম্মেলনে উপস্থিত হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সুচি। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে সুচির সাক্ষাৎ হতে পারে। সাক্ষাতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য হতে পালিয়ে এসে এখনও অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা যখন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন, ঠিক তখন দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি আঞ্চলিক একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েতনাম যাচ্ছেন। তারপর তিনি ফিলিপাইনে যাবেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। অ্যাপেক ও আসিয়ান সম্মেলনে উপস্থিত হবেন ১২ দিনের এশিয়া সফরে অবস্থানরত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সম্মেলনে এই দুই নেতার পার্শ্ব বৈঠকের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সম্মেলনে তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎও হতে পারে। সম্ভাব্য সেই সাক্ষাৎকে সামনে রেখে জোরালোভাবে একটি প্রশ্ন সকলের মনেই উঠে এসেছে। আর তা হলো, সু চির সঙ্গে সাক্ষাতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ট্রাম্প কী সত্যিই মুখ খুলবেন?
গত ২০ বছরের মধ্যে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের দীর্ঘতম এশিয়া সফরে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই সফরে উত্তর কোরিয়ার হুমকি এবং বাণিজ্য প্রধান ইস্যু হিসেবে আলোচনায় রয়েছে। তবে এপর্যন্ত তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনও বক্তব্যই দেননি। বিশেষ করে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, হোয়াইট হাউস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমালোচনা, নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলেননি। যে কারণে অনেকেই আশা করছেন অ্যাপেক সম্মেলনে গিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখ খুলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হয়তো রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ট্রাম্পের কোনো উদ্যোগ কাজে আসতেও পারে- সে আশাই করছেন অনেকেই।