দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্বখ্যাত ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যায় কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি একাডেমিক রুবা সালিহর বিষয়টি নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়।
বয়কট, বিভাজন ও নিষেধাজ্ঞা (বিডিএস) আন্দোলন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক ফিলিস্তিনিকে সভাপতিত্ব করতে না দেওয়ায় প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল ফিলিস্তিনি একাডেমিক রুবা সালিহর। তবে তিনি নিরপেক্ষ নন বলে অভিযোগ আনে ক্যামব্রিজ কর্তৃপক্ষ ও তাকে না সরালে অনুষ্ঠান বানচালের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিডিএস আন্দোলনের কর্মী ওমর বার্গহুতির ওই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল স্কুল অব আফ্রিকান এন্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রুবা সালিহকে। তবে অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক ঘণ্টা পূর্বেই তাকে সরাতে বাধ্য করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনি মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, ব্রিটেনে ইসরাইলের সমালোচনার ওপর যে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে এটি তারই একটি ইঙ্গিত। এদিকে ক্যামব্রিজের শিক্ষার্থী এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক এড ম্যাকনাল্লি আলজাজিরাকে বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভিত্তিহীন অভিযোগে বাক–স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে।
ইসরাইলি লবির কারণে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির পদ থেকে সালিহকে বাদ দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে খোলা উন্মুক্ত পত্রে সই করেছেন কয়েকশ’ ছাত্র এবং শিক্ষক। তবে ক্যামব্রিজ কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র আলজাজিরাকে ই–মেইলে বলেছেন যে, প্রতিষ্ঠানটি বাক–স্বাধীনতা দিতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সালিহকে কেনো প্রধান অতিথি হিসেবে নিরপেক্ষ মনে করা হলো না– আলজাজিরার এমন এক প্রশ্নের জবাব দেয়নি ক্যামব্রিজ কর্তৃপক্ষ। রুবা সালিহ জানিয়েছেন, তাকে কেনো নিরপেক্ষ মনে করা হলো না- সে সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যাখ্যা তিনি এখনও পাননি।