দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে বিশ্ব। আর এবার বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে সিঙ্গাপুর আনছে চালকবিহীন বাস।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এবার চালকবিহীন বাসের ব্যবহার শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে সিঙ্গাপুর। ৩টি নতুন প্রতিবেশী অঞ্চলে বাসগুলোর পাইলট প্রকল্প চালানো হবে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসগুলোর জন্য অঞ্চলগুলোতে অপেক্ষাকৃত অনেক কম মানুষের ভিড় থাকবে। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদেরকে এলাকার মধ্যে ও নিকটবর্তী ট্রেন এবং বাস স্টেশনে যাতায়াতে সাহায্য করবে স্বচালিত এই বাসগুলো।
চলমান মানবচালিত বাস সেবার বিকল্প হিসেবেই এই স্বয়ংক্রিয় বাসগুলো ব্যবহার করা হবে। প্রাথমিকভাবে অফপিক আওয়ারে এই বাসগুলো চালানো হবে। অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চালকবিহীন গাড়ির প্রযুক্তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী।
দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি এক খবরে বলেছে, স্বচালিত প্রযুক্তি ঘনবসতিপূর্ণ দেশটিতে জমি সীমাবদ্ধতার বিষয়টি ঠিক রাখতে এবং কর্মশক্তির ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রী খও বুন ওয়ান বলেছেন, স্বচালিত যান আমাদের জনগণের যাতায়াত ব্যবস্থার সঙ্গে দারুণ যোগাযোগ তৈরি করবে; বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে।
সম্প্রতি স্বচালিত যানের একটি পরীক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধনকালে খও বলেছেন, জমির ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা শহরের গতিশীলতার সমাধান দিতে বৈশ্বিক প্রতিযোগী হতে সহায়তা করতে পারে। এখানে যেটি কাজ করবে সেটি অন্য শহরেও কাজ করবে।
জানা যায়, রাস্তার টোল ও নীতিমালার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক শহরের থেকে সিঙ্গাপুরে ট্রাফিক জ্যাম অনেক কম। স্বচালিত প্রযুক্তিতে শীর্ষস্থানে ওঠার আশা করছে দেশটি। দেশটিতে ইতিমধ্যেই চালকবিহীন ট্যাক্সি চলমান রয়েছে। সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে চালকহীন শাটল গাড়ি ব্যবহার করে থাকে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রথম চালকবিহীন যাত্রীবাহী বাস চালু করা হয় ফ্রান্সের লিয়ন শহরে। প্রতি ঘণ্টায় ৬ মাইল কিংবা ১০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম এই বাসগুলোর যাত্রীধারণ ক্ষমতা ১৫ জনের মতো।