প্রায় নতুন দল হিসেবে মাঠে নামা একঝাঁক তরুণরাই ভারতকে এনে দিলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৩’র প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৬ রানের বড় জয়। ২৬ রান হিসেবে মাত্র শোনালেও ভারতের জন্য এখন এটাই বড় জয়, কারণ ৩৩১ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৫ রান করে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিলো ভারতকে। ভারতীয় ওপেনিং জুটিতে ১২৭ রানের সংগ্রহ এবং পরবর্তী দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটিতে ৩১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা, ম্যাচের গতিবিধি নির্ধারণ করে দেয়।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে রোহিত শর্মা এবং শেখর ধাওয়ান আফ্রিকান বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলেন। ফলাফল ২১.২ ওভারে শর্মা আউট হবার আগ পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৭ রান। রায়ান ম্যাকলারেনের বলে পিটারসেনের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন শর্মা, করেন ৮১ বলে ৬৫ রান। এরপরই দ্বিতীয় উইকেটে ধাওয়ানের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন ভিরাট কোহলি। কার্ডিফের শীতের সকালে ধাওয়ান দ্রুত রান তুলে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ভারতকে, সহযোগিতা করে যান কোহলি। ৩৫তম ওভারে ৪১ বলে ৩১ রান করা কোহলিকে ফিরিয়ে দেন টটসোবে।
কিছুক্ষণ পরে ৩৭তম ওভারে ডুমিনি’র অফব্রেক বলে পরাজিত হন ধাওয়ান, কিন্তু ততক্ষণে ৯৪ বলে ১১৪ রান তুলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ভারতকে দিয়ে যান শক্ত ভিত্তি। পরবর্তীতে অধিনায়ক ধোনির ২৭ রান এবং রবীন্দ্র জাদেজার ২৯ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারত ৩৩২ রানের বড় টার্গেট ছুঁড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। টটসোবে ২টি এবং ম্যাকলারেন ৩টি করে উইকেট পান।
রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে ৩১ রানের ভেতর আমলা এবং ইনগ্রামকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় প্রোটিয়াসরা। যাদব এবং কুমার ভারতকে বড় এই ব্রেকথ্রু এনে দেন। যদিও এই বিপদ থেকে দ্রুতই আফ্রিকাকে টেনে তোলে পিটারসেন-ভিলিয়ার্স জুটি, কিন্তু সেটা জয় এনে দেবার মতো যথেষ্ট ছিলো না।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৪ রান যোগ করেন তারা। দলীয় ১৫৫ রানের মাথায় ২৪তম ওভারে পিটারসেন রান আউট হলে বড় একটা টার্নিং পয়েন্ট পায় ভারত। রান আউট হবার আগে পিটারসেন করেন ৬৮ রান। ৩০তম ওভারে ডুমিনি মাত্র ১৪ রান করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন, এরপর ৩১ তম ওভারে ৭০ রান করা ডি ভিলিয়ার্সকে ক্যাচ আউট করে ভারতকে স্বস্তি এনে দেন আবারও সেই যাদব।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়াসরা, এরমাঝেও ৬১ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ব্যাটিং প্রদর্শন করেন ম্যাকলারেন। তাতে ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৩০৫ রান। কুমার, যাদব, ইশান্ত শর্মা এবং রবীন্দ্র জাদেজা প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট পান।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ভারতকে জয় এনে দেয়া শিখর ধাওয়ান পেয়ে যান ম্যান অব দ্যা ম্যাচের স্বীকৃতি।