দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভ্রমণে সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়টি হচ্ছে সময় অপচয়। আকাশ পথে ভ্রমণ সময় কিছুটা বাঁচালেও নিত্য নতুন আবিষ্কারে মত্ত মানুষ কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারে নি। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইতোমধ্যে আবিষ্কার করেছে এমন টিউব ট্রেন যা সকল যানকে ছাড়িয়ে যাবে। বলা হচ্ছে ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি হবে ঘন্টায় ৬৫০০ কিলোমিটার এবং নিউইয়র্ক থেকে লস এঞ্জেলস যেতে লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট। বায়ুশূন্য টিউব ট্রান্সপোর্ট প্রযুক্তি বা Evacuated Tube Transport Technologies (ET3) নামে এক প্রতিষ্ঠান টিউব ট্রেন এর পরিকল্পনাটি করছে।
নিউইয়র্ক থেকে লস এঞ্জেলস এর মোট দূরত্ব ৩৯৪০ কিলোমিটার। বিমান পথে এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগে ৫ ঘন্টা ৪৫ মিনিট। আর টিউব ট্রেনে করে মাত্র ৪৫ মিনিটেই নির্বিঘ্নে পৌছানো সম্ভব। এর জন্য যাত্রীকে গুণতে হবে মাত্র ১০০ ডলার। এটাই শেষ নয়, নিউ ইয়র্ক থেকে বেইজিং যেতে লাগবে মাত্র ২ ঘন্টা। বিশেষভাবে বানানো এই টিউব ট্রেন Evacuated Tube Transport (ETT) বায়ুশূন্য টিউবের ভেতর দিয়ে চলবে। প্রতিটি টিউব ১৬ ফিট দীর্ঘ, ৫ ফিট ব্যাস এর যার ওজন হবে ১৮৩ কেজি বা ৪০০ পাউন্ড। প্রতি টিউবে সবোর্চ্চ ৬ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হবে যার ওজন হবে সবোর্চ্চ ৩৬৭ কেজি বা ৮০০ পাউন্ড। যাত্রীদের মালামাল রাখার ব্যবস্থাও থাকবে টিউবে। শূন্য মাধ্যমে চুম্বক শক্তির উপর নির্ভর করে টিউব ট্রেন চলবে। টিউবের চলার পথটি হবে সম্পূর্ণ বায়ুরোধী এবং ঘর্ষণমুক্ত। টিউব ট্রেন ঘন্টায় ৪০০০ মাইল বা ৬৫০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারবে। তাই এটাকে বলা হচ্ছে স্পেস ট্রাভেল অন আর্থ।
সাধারণ পরিবহন এর মতন টিউব ট্রেনে কোন যাত্রা বিরতি কিংবা খাবার এর ব্যবস্থা থাকবে না। তবে যাত্রীদের ভ্রমণ উপভোগ্য করার জন্য টেলিভিশন এর ব্যবস্থা থাকবে। ET3 দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এই প্রযুক্তি আগামী দিনের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনবে। যানজট বিহীন স্বল্প সময়ের ভ্রমণ ব্যবস্থা যাত্রীদের দিবে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। তবে আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামীদিনে এই ধরণের যান অবশ্যই আসবে। মানুষ পরিবহন না করলেও মালামাল পরিবহনে এরকম প্রযুক্তি যুগান্তকারী প্রভাব রাখবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল