দুইদলের বোলিং শক্তি প্রদর্শনে জয়ী হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আলাদা করে বলতে গেলে উইন্ডিজ দলীয় খেলার উদাহরণ তুলে ধরলো আজ। উইন্ডিজের বোলিং তোপের মুখে পাকিস্তান অল-আউট হয়ে যায় ১৭০ রানেই। বিপরীতে উইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে ভালোই কামড় বসিয়েছিলেন পাক বোলাররা, তবে দলীয় বোলিংয়ের মতো ব্যাট হাতেও দলীয় খেলা প্রদর্শন করে উইন্ডিজ। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে জিতে যায় ২ উইকেটে।
টস জিতে উইন্ডিজ বোলিং নেয় আর পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে উইন্ডিজের বোলিংয়ের সামনে একপ্রকার আত্মসমর্পন করেছে তারা। মিসবাহ-উল-হকের অপরাজিত ৯৬ রান আর নাসির জামশেদের ৫০ রানের পর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান মাত্র ৬! দলীয় ১৫ রানের ভেতর ইমরান ফারহাত, মোহাম্মদ হাফিজ এবং আসাদ শফিককে ফিরিয়ে দিয়ে উইন্ডিজকে উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন পেসার কেমার রোচ।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে মিসবাহ-জামশেদ ৯০ রান যোগ করে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধ্বস সামলানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু ঠিক এসময়ই জামশেদকে স্পিন ফাঁদে ফেলে উইন্ডিজকে বড় ব্রেক থ্রু এনে দেন সুনীল নারাইন। এরপর প্রায় পরপর শোয়েব মালিক এবং কামরান আকমলকে তুলে নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দেন তিনি।
ওয়াহাব রিয়াজ এবং সাইদ আজমল রান আউট হয়ে গেলে পাকিস্তান ১৩৮ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে একক ব্যাটিং করে দলকে ১৭০ রানে তুলে দেন অধিনায়ক মিসবাহ। প্রায় এক যুগ ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলে আজ একটু’র জন্য সেঞ্চুরি পেলেননা তিনি। ৯৬ রানে অপরাজিত থেকে খেলা শেষ করতে হয় তাঁকে কারণ ও প্রান্তে সর্বশেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মোহাম্মদ ইরফানের উইকেট তুলে নিয়েছেন রবি রামপাল।
রান তাড়া করতে নেমে উইন্ডিজের শুরুটাও ভালো হয়নি। ১৫ রান ২ উইকেট তুলে নিয়ে পাক বোলাররা উইন্ডিজ ব্যাটিংয়ের পরীক্ষা নেয়। ২টি উইকেটই নেন মোহাম্মদ ইরফান। তবে এরপর গেইল-স্যামুয়েলস জুটি ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন।
আজমলের বলে গেইল ব্যক্তিগত ৩৯ রানে বোল্ড হলে আবারও বিপদে পড়ে উইন্ডিজ। তবে উইন্ডিজের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই উইকেট ছুঁড়ে না দিয়ে একটু একটু করে রান যোগ করতে থাকেন স্কোরবোর্ডে। স্যামুয়েলস ৩০, পোলার্ড ৩০, এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রাভো’র ১৯ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৪০.৩ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে উইন্ডিজ, পেয়ে যায় ২ উইকেটের জয়।
ইরফান ৩, আজমল ২ এবং রিয়াজ ২ উইকেট নিয়ে চেষ্টা করলেও সেটা পাকিস্তানকে জয় এনে দেবার মতো যথেষ্ট ছিলো না। অপরদিকে পাকিস্তানের শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যানকে একা হাতে ফিরিয়ে দিয়ে উইন্ডিজের জয়ের পথ সুগম করার জন্য কেমার রোচ পেয়ে যান ম্যান অব দ্য ম্যাচের স্বীকৃতি।