দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (বৃহস্পতিবার) ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০১৮ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা গ্রহণের সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ফাইল ছবি
আজ (বৃহস্পতিবার) ১ ফেব্রুয়ারি হতে ২০১৮ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি, মাদরাসা বোর্ডের দাখিল এবং কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
সকালের পরীক্ষা ১০টা হতে এবং বিকেলের পরীক্ষা ২টা হতে শুরু হবে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র দিয়ে পরীক্ষা শুরু হবে। এবার শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, লেখাধুলা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে না।
সময়সূচি অনুযায়ী ১ হতে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সঙ্গীতের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চের মধ্যে বেসিক ট্রেডসহ এসএসসির সব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
অপরদিকে দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। এক্ষেত্রে ৬ মার্চের মধ্যে সব ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষ হবে। অন্যদিকে কারিগরি বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি।
শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান এবং লেখাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্তনম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবেন। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নের প্রাপ্ত নম্বরও বোর্ডের ওয়েসবাইটে অনলাইনে পাঠাবে বলে আগেই জানানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল (বুধবার) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন সময় ফেসবুক বন্ধে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বিটিআরসি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বলেছি, ফেসবুক ব্যবহার করে নানাভাবে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে ফেলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, এই ব্যাপারে আপনারা সাহায্য করতে পারেন। তারাও সাহায্য করার বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ১০টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ১ ফেব্রুয়ারি হতে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র হলো ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন। ছাত্রী হলো ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন। ২০১৭ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন।
শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা পূর্বে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘যানবাহন ও দূরত্ব বিবেচনায় তোমরা বাসা হতে রওনা হতে হবে। যাতে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা পূর্বে নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসতে পারো।’