দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, আর তা হলো ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দাড়ি রাখা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু কেনো এই নিষেধাজ্ঞা? সেটি আমাদের অনেকের অজানা। আজ জেনে নিন বিষয়টি।
দাড়ি রাখার অপরাধে এক জওয়ানকে নাকি বসিয়ে দিয়েছিলেন এক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি। কারণ হলো, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দাড়ি রাখার নিয়ম নেই। কেবলমাত্র ধর্মীয় কারণে দাড়ি রাখতে দেওয়া হয় দেশটিতে। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে পেতে হয় চরম শাস্তি!
যদিও ওই জওয়ান পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে সেখানেও তার আর্জিটি খারিজ হয়ে যায়। কেনো এমন অদ্ভুত নিয়ম? কেনো দেশটির সেনাবাহিনীতে ক্লিন সেভ করাটা বাধ্যতামূলক?
সেনাবাহিনীতে কখনই দাড়ি বা চুল বড় করতে দেয় না। কান ঢেকে যায়, এমন চুল কখনও রাখা যায় না। শৃঙ্খলা এবং সামঞ্জস্য রক্ষার জন্যই এমন নিয়ম। আবার ডোগরা রেজিমেন্টে নাকি সবাই গোঁফ রাখেন। সেটিও হতে হবে একই শেপের। কারণ হলো, সেনাবাহিনীতে কেও আলাদা নয়। সবাই একটি সিস্টেমের অংশ মাত্র। তাই নিজেকে আলাদা বা বিচ্ছিন্ন ভাবাটা সেনাবাহিনীর কোনো নিয়ম নয়।
তবে শিখদের ক্ষেত্রে অবশ্য অন্য নিয়ম। তাদের মাথায় পাগড়িতে ঢাকা বড় চুল ও দাড়ি থাকে। কারণ শিখধর্মে পাঁচটি ‘ক’ মেনে চলা বাধ্যতামূলক- কেশ, কাংঘা, কারা, কাচ্চা, কৃপাণ। কেশ অর্থাত্ চুল কাটা যায় না। আর তাই শিখদের ক্ষেত্রে চুল রাখতে দেওয়া হয় সেনাবাহিনীতে। তারা চুল ছোট রাখুন বা বড়, চুল রাখাটায় তাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। যতোদিন চাকরি করবে, ততোদিন চুল রাখতেই হবে দেশটির শিখ সৈনিকদের।
ভারতের বাইরে অনেক দেশেই সেনাবাহিনীতে দাড়ি রাখতে দেওয়া হয়। মধ্যপ্রাচ্যে যারা দাড়ি রাখে ও যারা ক্লিন সেভ তাদের জন্য আলাদা আলাদা রেজিমেন্টও রয়েছে। তবে সেনাবাহিনীতে চুল ছোট রাখার নিয়মটি বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশেই বিদ্যমান।