দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে থ্রিডি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে এখন সবাই থ্রিডি মুভি, ভিডিও গেম এবং থ্রিডি এনিমেশন দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের বিনোদনেরও পরিবর্তন ঘটেছে। থ্রিডি তার মধ্যে অন্যতম।
বিশেষ করে শিশু,কিশোর এবং মধ্যবয়ষ্কদের কাছে থ্রিডি বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। 3D এর পূর্ণরূপ হল Three Dimensional, যার বাংলা অর্থ ত্রিমাত্রিক। এর তিনটি মাত্রা হল দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা। অর্থাৎ যে সকল বস্তুর তিনটি মাত্রা রয়েছে, তাদেরকে ত্রিমাত্রিক বস্তু বলে। আমাদের বস্তু জগতের প্রতিটি বস্তুই ত্রিমাত্রিক। তাই আমরা চারপাশে যা কিছু দেখি সেগুলো সব থ্রিডি মুডে দেখি। কারণ এর তিনটি মাত্রাই থাকে।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, একটি ল্যাপটপের নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা রয়েছে। কিন্তু ওই ল্যাপটপটি যখন কাগজের উপর ছবি আকারে থাকে তখন তার কেবল দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ থাকে; কিন্তু উচ্চতা থাকে না।
কাগজের উচ্চতা হয়ত সাধারন চোখে বোঝা যায় না, কিন্তু কাগজেরও একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা রয়েছে। ত্রিমাত্রিক সিনেমা বা থ্রিডি মুভি আমরা দুই চোখে দেখি বলেই থ্রিডি দেখতে পাই। এক চোখে কখনো 3D দেখা যায় না । কারণ আমাদের দুই চোখ মস্তিস্কে একই বস্তুর দুটি ছবি পাঠায়, ছবি দুটি সামান্য ভিন্ন। মস্তিস্কে ছবি দুটি একটির উপর আরেকটি আপতিত হয়। তাই একচোখ বন্ধ করলে শুধু একটি ছবিই মস্তিষ্কে পৌঁছাবে। আপনার এক চোখ বন্ধ করে আপনার একটি হাত নাক বরাবর কাছে দূরে নিন দেখবেন দূরত্ব সঠিক ভাবে পরিমাপ করতে পারছেন না। কিন্তু দুই চোখে তা খুব ভালভাবে পারছেন। তখন বস্তুটি সম্পর্কে আমাদের 3D ধারণা স্পস্ট হয়। এই ধারনাকে কাজে লাগিয়ে 3D মুভি ও গেম বানানো হয়। আমাদের দুটি চোখের দুরত্ব যতটুকু ঠিক ততটুকু দুরত্বে দুটি ক্যামেরা রেখে ভিডিও করা হয়। 3D এনিমেশনেও দুটি ভিডিও থাকে। বাম পাশের ক্যামেরা দিয়ে করা ভিডিও হয় লালছে আর ডানপাশের ক্যামেরা দিয়ে করা ভিডিও হয় নীলছে। এরপর দুটি ভিডিও একই সাথে একই মনিটরে প্লে করা হয়।
তাহলে আপনি কি মনিটরে দুইটা ভিডিও দেখতে পাবেন? কখনই না। কারণ থ্রিডি মুভি দেখতে আমরা যে চশমা ব্যবহার করি ওই থ্রিডি চশমার বাম চোখের কাঁচ হয় লালচে আর ডান চোখের কাঁচ হয় নীলচে। ফলে বাম চোখে দেখা যায় শুধু বাম পাশের ক্যামেরা দিয়ে করা ভিডিও আর ডান চোখে দেখা যায় শুধু ডান পাশের ক্যামেরা দিয়ে করা ভিডিও। মস্তিস্কে দুটি ভিডিও একটির ওপর আরেকটি আপতিত হয় ফলে আমরা একটি বস্তুই দেখতে পাই এবং বস্তুটি সম্পর্কে আমাদের 3D ধারণা স্পস্ট হয়। এভাবেই তৈরি হয় 3D মুভি ও 3D গেম ।