দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিকতা কী তাহলে শেষ পর্যন্ত ধর্মের উপরেও ভর করবে? এবার আজানের বিকল্প বের করা হয়েছে। আজানের পরিবর্তে এসএমএস পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে!
এমন একটি অভিনব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ঘানার রাজধানী আক্রার মসজিদগুলোতে। সেখানে মাইকে আজান না দিয়ে মোবাইলে এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দিয়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের ডাকতে বলা হয়েছে! যদিও স্থানীয় মুসলমানরা এই পরিকল্পনা তাৎক্ষণাত প্রত্যাখ্যান করেছেন। সরকারের পক্ষ হতে বলা হয়েছে শব্দদূষণ কমাতে এই পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে।
ঘানার পরিবেশমন্ত্রী কোয়াবেনা ফ্রিম্পং-বোয়েটেং রবিবার বলেছেন, ‘টেক্সট কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে কেনো নামাজের সময়সূচি জানানো যাবে না? ইমাম সাহেব সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে পারেন। আমি মনে করি যে, এর ফলে শব্দ দূষণ কমবে। এটি হয়তোবা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মনে হতে পারে, তবে এই বিষয়ে আমরা ভাবতেই পারি।’ তবে স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায় সরকারের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জনৈক খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী বলেছেন, সকাল বেলায় মেগাফোন ব্যবহার করে নামাজের জন্য মুসলমানদের ডাকার বিষয়টি আমি সমস্যা বলে মনে করি না। কারণ হলো, খ্রিষ্টানদের গির্জাতেও মেগাফোন ব্যবহার করা হয়।
তবে ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা কেভিন প্র্যাট পরিবেশমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, সবাই সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত নেই। তাছাড়া সবাই মন্ত্রীর মতো শিক্ষিতও নন যে, মোবাইল ফোনে এতোটা পারদর্শী হবেন।
বিষয়টি ভবিষ্যতে আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে ঘানা সরকার। মসজিদ ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় হতে সৃষ্ট শব্দদূষণ কমানোরও পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।
খ্রিষ্টানপ্রধান রাষ্ট্র ঘানার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশই মুসলমান। ইতিপূর্বে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে লাউডস্পিকার ব্যবহার করে মসজিদে আজান দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো রুয়ান্ডার সরকার। রুয়ান্ডায় মুসলমানের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ।