দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চোখের চারপাশে সুদৃশ্য হলুদ রিং। ঘাড়ের কাছাকাছি পুরু কালো বেষ্টনী, কপালে একটি কালো ধাপ। একনজর দেখলে আকর্ষণ করে। অনিন্দ্য সুন্দর এই পাখিটির নাম ছোট নথজিরিয়া।
ছবিঃ রবিন রাজ
বর্ষায় যখন নদীতে বান আসে, তখন চারদিকে হুমকি সৃষ্টি করে। তবে এ চিত্র কালেভদ্রে দেখা মেলে। সারা বছর নদে পানি থাকে কম। ফলে চরের মাঝে দেখা যায় হরেক রকম পাখি। পাখিরা এখানে শিকার করে। পানিতে গোসল করে। আবার রোদও পোহায়। লিটল রিংগড প্লভার অন্যান্য প্লভারের মতোই পরিযায়ী পাখি। সাধারণত আমাদের দেশে প্লভার পাখি সাইবেরিয়া থেকে আসে। কিছু কিছু পাখি স্থানীয়ভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যাযাবর জীবন যাপন করে। এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। পানিতে লাফালাফি করে খেলা করে, অনেকটা কাবাডির মতো। এই খেলার মধ্যেই খাবার খোঁজার কাজটি সেরে নেয়। খাবারের মধ্যে ছোট শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া এবং ছোট ক্রাস্টেশিয়ান এদের প্রিয়। তবে তৃণভূমিতে বিচরণের সময় এরা মাটি খুঁটে খুঁটে পোকামাকড় এবং ছোট কৃমি আহরণ করে।
লিটল রিংগড প্লভারের বৈজ্ঞানিক নাম Charadrius dubius। নদী-সমুদ্র তীরবর্তী তৃণভূমিতে কিংবা মিঠা পানির জলাভূমির পাশে এরা আবাস গড়ে তোলে। মাটির ওপরে তৃণাচ্ছাদিত পাথর বা শক্ত মাটিতে বাসা তৈরি করে। কখনো কখনো ছোট গাছের ঝোপেও বাসা তৈরি করে। স্ত্রী পাখি বাসায় ডিম দিলেও পুরুষ পাখি স্ত্রীর সঙ্গে পালাক্রমে ডিমে তা দেয়।