দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের বৃহত্তম জনবহুল দেশ হল চীন। আর এই বিশাল জনগোষ্ঠির বাড়তি পানির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পুরণ করতে এবার আকাশ নদী নেটওয়ার্ক নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে চীন।
প্রতিবছর চীনে ব্যাপক হারে কল-কারখানা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে পানির চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে চীনের গবেষকরা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের মূল কাজ হল দক্ষিণের তিব্বতীয় পার্বত্য অঞ্চলের বায়ুমন্ডলীয় জলীয় বাষ্পের দিক পরিবর্তন করে শুষ্ক অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটানো। এর ফলে চীনের মোট পানির প্রায় ৭% চাহিদা মেটাবে এই প্রকল্পটি।
এই প্রযুক্তিতে জ্বালানি নির্ভর ছোট ছোট চুল্লি বা চ্যাম্বারের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। বৃষ্টি নামানোর ক্ষেত্রে এই চুল্লিগুলোই প্রধান ভূমিকা রাখবে। এ চুল্লিগুলো মূলত তৈরি করবে বরফের মতো স্বচ্ছ আকারের মেঘ সৃষ্টিকারী উপাদান সিলভার আয়োডাইড। এগুলো বসানো হচ্ছে তিব্বতীয় পর্বতমালার ওপরে।
এতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েক হাজার মিটার ওপরে কৃত্রিমভাবে মেঘ ঘনীভূত হবে এবং আগের তুলনায় বৃষ্টিপাত বেশি হবে। এই বৃষ্টির পানি নদী হয়ে বিভিন্ন খাল-বিলে পানি বৃদ্ধি করবে। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে আকাশ নদী নেটওয়ার্ক। বিজ্ঞানীদের মতে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃষ্টিপাত হবে এবং বছরে এর পরিমাণ হবে ১০ কোটি কিউবিক মিটার পর্যন্ত।
চীন তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, তিব্বত পর্বতমালাজুড়ে ৫ হাজার মিটার উচ্চতায় নির্মাণ করা হবে কয়েক লাখ চুল্লি। এ অঞ্চলের মোট আয়তন হচ্ছে ১৬ লাখ বর্গ কিলোমিটার যা স্পেনের চেয়ে তিনগুণ বড়। এই প্রকল্প থেকে চীন তাদের পানির চাহিদা পূরণ করলেও এর আশপাশের বেশ কিছু দেশে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।