দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় সে সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা নেই। আজ জেনে নিন তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজের নিয়ম ও ফযীলত সম্পর্কে।
বেশ কিছু ব্যতিক্রমি নিয়ম রয়েছে তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজের। নিয়ম হলো, এই নামাজ অজু করার পর কারও সঙ্গে কথাবার্তা না বলে, অজুর অঙ্গগুলো শুকানোর পূর্বেই দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে। এই নামাজ মোস্তাহাব। ইসলামী পরিভাষায় এই নামাজকে “তাহিয়্যাতুল অজু” বলে অভিহিত করা হয়েছে। সহীহ বুখারীতে এই নামাজের অনেক ফযীলতের কথা উল্লেখ রয়েছে। মাকরুহ ওয়াক্ত ছাড়া এই তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ পড়া যাবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি অজু ভাঙার পর অজু করলো না, সে আমাকে অবজ্ঞা করলো; আর যে ব্যক্তি অজু করার পর দুই রাকাত (নফল) নামাজ পড়লো না, সেও আমাকে অবহেলা করলো। (হাদিসে কুদসি)।
তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজের নিয়ম:
তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ পড়তে সাধারণ সুন্নাত ও নফল নামাজের ন্যায় যেকোন সূরা-কিরাত দ্বারা ` তাহিয়্যাতুল অজু`নামাজ আদায় করা যায়। উভয় রাকাআতেই সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। আখেরী বৈঠক আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছূরা সব পড়ে স্বাভাবিক নামাজের মতোই সালাম ফিরাতে হবে।
তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজের ফযীলত:
তাহিয়্যাতুল ওজুর নামাজওজু করার পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া সম্পর্কে হযরত ওকবা ইবনে আমের জুহানী (রাজি.) হতে বর্ণিত রয়েছে নবী করীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ওজু করার পর একাগ্রতা এবং আল্লাহর দিকে মনকে ধাবিত করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে, আল্লাহ তা’আলা তারজন্য জান্নাত ওয়াজীব করে দেবেন। (নাসায়ী শরীফ, ১ম খ-, ৩৬ পৃষ্ঠা)।
তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজের সময়:
নামাজের নিষিদ্ধ সময় ছাড়া যে কোনো সময় ওজু করার পর এই নামাজ পড়া যায়। অর্থাৎ যে তিন সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। (১) সূর্য উদয়ের সময়, (২) ঠিক দুপুরে (যখন সূর্য মাথা সোজাসুজি থাকে), (৩) সূর্য ডুবার সময়। (তিরমিযী শরীফ, ২য় খ-, ৩৪১ পৃষ্ঠা) তাছাড়া বাকি যে কোনো সময় এই তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ পড়া যায় বলে হাদিস শরীফে বর্ণিত রয়েছে।