দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীন পাকিস্তানের জন্য একটি ‘অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ’ বানানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নির্মাণাধীন এই জাহাজটিই চীনা নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের নতুন সংস্করণ হতে চলেছে।
চীন পাকিস্তানের জন্য একটি ‘অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ’ বানানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নির্মাণাধীন এই জাহাজটিই চীনা নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের নতুন সংস্করণ হতে চলেছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলেছে, ভারত মহসাগরে ‘ক্ষমতার ভারসাম্য’ নিশ্চিত করার লক্ষে বেইজিং এই অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে চায়না ডেইলির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এই তথ্য জানিয়েছে।
আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত ও সনাক্তকরণ ব্যবস্থাসম্পন্ন নতুন এই যুদ্ধজাহাজটি বিমান, সাবমেরিন এবং অন্যান্য যে কোনো জাহাজের আক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত জাহাজনির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএসএসসি।
পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় অস্ত্র চুক্তি অনুযায়ী ইসলামাবাদ এই ধরনের অন্তত ৪টি যুদ্ধজাহাজ চেয়েছিল, যারমধ্যে এটিই প্রথমটি।
যে যুদ্ধ জাহাজটি চীন পাকিস্তানকে দেবে সেই নতুন যুদ্ধজাহাজটি ০৫৪এপি শ্রেণীর বলে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ০৫৪এ শ্রেণীর জাহাজের ওপর ভিত্তি করেই নতুন এই জাহাজটি বানানো হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
জাহাজটি নির্মাণ শেষ হলে এটিই হবে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য একটি বড় ধরনের সংযোজন, যা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশটির সক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পারেব, সেইসঙ্গে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং ভারত মহাসাগরে ক্ষমতার ভারসাম্যও রক্ষায় ভূমিকা রাখবে এই জাহাজ। এমনটিই বলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যমটি।
চীন ইতিমধ্যে আফ্রিকার জিবুতিতে একটি সামরিক ঘাঁটি বানিয়েছে; ঋণের বিনিময়ে শ্রীলঙ্কার নিকট হতে ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে। কৌশলগতভাবেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাম্বানটোটা সমুদ্র বন্দরটি।
উল্লেখ্য, চীন-পাকিস্তানের অর্থনৈতিক করিডোরটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে যাওয়ায় ভারত শুরু হতেই এই প্রকল্পের চরম বিরোধিতা করে আসছে। ভারত বিরোধিতা করলেও চীন তার কাজ অব্যাহত রয়েছে।