দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্যাতিমান অভিনেতা টেলি সামাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি টেলি সামাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশের জনগণ চলচ্চিত্র ও নাটকে তার অবদান দীর্ঘদিন স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্যাতিমান অভিনেতা টেলি সামাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি আজ এক শোক বার্তায় চলচ্চিত্র এবং নাটকে অভিনেতা টেলি সামাদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
টেলি সামাদ আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি দুই পুত্র, দুই কন্যা ও অগনিত আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন। তিনি গত কয়েক বছর ধরেই বাধর্ক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার বাইপাস সার্জারি করা হয়।
চলচ্চিত্র জীবন
১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ চলচ্চিত্রে কৌতুকাভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ ঘটে। ‘নয়নমণি’ ও ‘পায়ে চলার পথ’-এর মতো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন। ‘মনা পাগলা’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি ৫০টির মতো চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠও দেন তিনি। অভিনয়জীবনে চার দশকে ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন টেলিসামাদ।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মোস্তফা মামুন তার ডাক নাম দিয়েছিলেন টেলিসামাদ। তারপর থেকেই তিনি এ নামেই পরিচিত হন। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘জিরো ডিগ্রী’ মুক্তি পায় ২০১৫ সালে।
টেলিসামাদের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের তালিকা
জিরো ডিগ্রী (২০১৫)
কুমারী মা (২০১৩)
সাথী হারা নাগিন (২০১১)
মায়ের চোখ (২০১০)
আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০)
রিকসাওয়ালার ছেলে (২০১০)
মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯)
কাজের মানুষ (২০০৯)
মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি (২০০৯)
কে আমি (২০০৯)
কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩)
মিস লোলিতা (১৯৮৫)
নতুন বউ (১৯৮৩)
মাটির ঘর (১৯৭৯)
নাগরদোলা (১৯৭৯)
গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮)
অশিক্ষিত (১৯৭৮)
জয় পরাজয় (১৯৭৬)
গুন্ডা (১৯৭৬)
সুজন সখী (১৯৭৫)
চাষীর মেয়ে (১৯৭৫)
রঙিন রূপবান, ভাত দে ইত্যাদি।