দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দৈত্যের প্রভাবে নাকি ১২ বছরে ৫ হাজার বাচ্চা বদল করেছেন জাম্বিয়ার এক নার্স! তিনি বর্তমানে মারণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন!
দৈত্যের প্রভাবে নাকি ১২ বছরে ৫ হাজার বাচ্চা বদল করেছেন জাম্বিয়ার এক নার্স! তিনি বর্তমানে মারণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন!
আফ্রিকা মহাদেশের দেশ জাম্বিয়ার ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন এলিজাবেথ বালওয়া মেওয়া নামে একজন নার্স। ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে দীর্ঘ ১২ বছর কাজ করেছেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কর্মকাণ্ডের একটি স্বীকারোক্তি দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার সেই স্বীকারোক্তি শুনে বিস্মিত নেট দুনিয়ার মানুষ।
প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, জাম্বিয়ার ওই হাসপাতালে ১৯৮৩ হতে ১৯৯৫ অবধি কাজ করেছেন নার্স এলিজাবেথ। তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে, এই দীর্ঘ ১২ বছরে প্রায় ৫ হাজার নবজাতককে তিনি রদবদল করেছেন! তবে এই কাজ তিনি নাকি কোনো স্বার্থ সিদ্ধির জন্য করেননি, কেবলমাত্র মজা পাওয়ার জন্য এক দশক ধরে এই অপরাধটি করে গেছেন তিনি। তবে কোনো এক দৈত্যের প্রভাবেই নাকি তিনি এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন।
কোলকাতার খ্যাতিমান পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, বর্তমানে তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। হয়তো বেশি দিন তিনি বাঁচবেন না। সম্প্রতি এলিজাবেথের মনে হয়েছে যে, নিজ কৃত অপরাধ স্বীকার না করলে ভগবান তাকে ক্ষমা করবেন না। সে জন্যই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অপরাধের কথা অপকটে স্বীকার করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত, হয়তো বেশিদিন আমি বাঁচবো না। তাই আমার এখন আর কিছুই লুকানোর নেই। ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের (ইউটিএইচ) প্রসূতি বিভাগে ১২ বছর কাজ করেছি আমি। সে সময় প্রায় ৫ হাজার বাচ্চার রদ-বদল করেছিলাম। সেই সব বাচ্চার মায়েদের হতে আমি ক্ষমা চাইছি।’
তিনি আরও বলেছেন যে, ‘সেই সময় কোনো এক দৈত্য যেনো তাকে দিয়ে এই কাজগুলো করিয়ে নিয়েছে।’
তার এই উদ্ভট আনন্দের জন্য অনেক সুখী দম্পতির বিচ্ছেদও হয়েছে। সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। এলিজাবেথের এই স্বীকারোক্তির পর জাম্বিয়ার জেনারেল নার্সিং কাউন্সিল এই বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।
তারা দেখছেন যে, ওই সময়কালে এই নামের কোনো নার্স আদতেও কাজ করতেন কি না।