দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সপ্তদশ শতাব্দীর ব্রোঞ্জের তৈরি একটি পাত্র। চীনে তৈরি এই পাত্রটি দেখতেও বেশ সুন্দর। সুইজারল্যান্ডের এক দম্পতি চীনে বেড়াতে গিয়ে সেটি সংগ্রহ করেন। তারা পাত্রটি টেনিস বল রাখার কাজে ব্যবহার করতেন। সম্প্রতি ওই পাত্রটি নিলামে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪২ কোটি টাকায়!
কিছুদিন পূর্বে সুইজারল্যান্ডের এক নিলাম বিশারদের চোখে পড়ে ব্রোঞ্জের ওই পাত্রটি। তিনি ওই পরিবারকে বোঝান যে, এই পাত্রটি কেনো অমূল্য। তারপরই হংকংয়ে আয়োজিত এক নিলামে প্রদর্শিত হওয়ার পর ৪৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্কে বিক্রি হয় ওই পাত্রটি। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে ৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকারও বেশি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সুইজারল্যান্ডের ওই দম্পতির কাছে থাকার সময় পাত্রটি খেলার অযোগ্য হয়ে পড়া টেনিস বল রাখার কাজে ব্যবহৃত করা হতো। তারা বিশ্বাস করতেন যে, নষ্ট টেনিস বল সেখানে রাখলে শুভ কিছু ঘটতে পারে। তাই তিনি বাড়ির টেবিলে সেটি সাজিয়ে রাখতেন। তবে নিলাম বিশারদের চোখ সেটিকে অমূল্যই করে তোলে।
নিলাম বিশারদ ওই ব্যক্তি তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে সেই পাত্র নিলামের ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপরই সেটি কোটি টাকায় বিক্রি হয়ে গেলো। অবশ্য এর পূর্বেও পাত্রটি নিলামে তুলেছিল ওই পরিবার। তবে জার্মানির মিউজিয়াম এবং লন্ডনের একটি নিলাম সংস্থা ওই পাত্রের ব্যাপারে অতোটা উৎসাহী না হয়ে ফিরিয়ে দেয়।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া নিলামে পাত্রটি কিনেছে কলার অকশন নামে একটি সংস্থা। তারা বাকিদের মতো ভুল করেননি। কলার অকশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, ‘যখন এটা তৈরি হয়েছিল তখন পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে ব্রোঞ্জের উপর কাজের নিদর্শন খুব একটা দেখাই যেতো না। তাই এটিকে অত্যন্ত অমূল্য একটি সম্পদ হিসেবেই দেখা যায়।’