দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অশালীন ছবি পোস্ট করে তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইরানের মডেল নেগজিয়া। তিনি কখনও ঘুমাচ্ছেন রাস্তায় এবং পার্কের বেঞ্চে!
অশালীন ছবি পোস্ট করে তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইরানের মডেল নেগজিয়া। তিনি কখনও ঘুমাচ্ছেন রাস্তায় এবং পার্কের বেঞ্চে!
আমাদের সকলের জানা ইরান হলো একটি রক্ষণশীল রাষ্ট্র। দেশটিতে ইসলামের বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করা হয়ে থাকে। নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। ইরানে কোনো রকম নগ্নতাকে কখনও প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। হিজাব না পরলে নারীদের প্রচলিত আইনানুযায়ী বিচারের মুখোমুখি করা হয়। রাষ্ট্রের কড়াকড়ি এমন আদেশ লঙ্ঘন করে নিজের অশালীন ছবি পোস্ট করে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইরানের ২৯ বছর বয়সী মডেল নেগজিয়া। দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েও তিনি ভালো নেই। এই তথ্য দেওয়া হয়েছে দ্য সান ইউকে।
জানা যায়, এই ঘটনায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন দেশটির মডেল নেগজিয়া। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে প্যারিসে। তারপোস্ট করা ছবিগুলো তিনি তুলেছিলেন ২০১৭ সালে। তখন থেকেই রেভুল্যুশনারি গার্ডসের রোষানলে পড়েন তিনি। তার ওই ছবিকে অশ্লীল এবং নির্লজ্জতা বলে আখ্যায়িত করা হয়। তাই তিনি জেল হওয়ার ভয়ে প্রথমে তুরস্কে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সেখান থেকে তিনি চলে যান প্যারিসে। ওই প্যারিসেই তিনি গত নভেম্বর মাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।
সেখানে তাকে জীবনের সঙ্গে এক মহা সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গৃহহীন নেগজিয়া কখনও ঘুমাচ্ছেন রাস্তায় আবার কখনও পার্কের বেঞ্চে। পেটের ক্ষুধা মেটাতে তিনি পোশাকসহ একটি ব্যাগ বিক্রি করেছেন মাত্র ১০ ইউরোতে! এতো কিছুর পরও নেগজিয়া তার কৃতকর্মের জন্য মোটেও অনুশোচনা করেন না। তিনি বলেছেন, আমি একজন গর্বিত নারী। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। ভেঙে দিয়েছি ওইসব আইন।
উল্লেখ্য যে, নেগজিয়ান অশালীন কতগুলো ছবি একজন ফটোগ্রাফার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর হতে তিনি রোষানলে পড়েন। তার আশঙ্কা, এর মধ্যদিয়ে ইরানে কঠোরভাবে অনুসরণ করা শরিয়া আইন লঙ্ঘনের দায়ে তিনি কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন। তাই তিনি অপকর্মের শাস্তি এড়াতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। তবে দেশ ছেড়েও দিন বদলায়নি তার; বরং জীবন আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে। তিনি মুখোমুখি হয়েছেন বাস্তবতার।