দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইলের যুগ আসায় ঘড়ির ব্যবহার বহুগুন কমে গেছে। তারপরও এই ঘড়ি নিয়ে যেনো গবেষণার শেষ নেই। বর্তমানে ব্যবহৃত আণবিক ঘড়ির চেয়ে আরও নিখুঁতভাবে সেকেন্ড পরিমাপ করে এমন ঘড়ি আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানীরা।
নিখুঁত সময় পরিমাপের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে ব্যবহৃত আণবিক ঘড়ির চেয়ে নতুন আণবিক ঘড়ি আরও নিখুঁতভাবে সেকেন্ড পরিমাপ করে। ফরাসি গবেষকরা জানান, অপটিক্যাল ল্যটিস ক্লক নামের নতুন আণবিক ঘড়ি প্রতি ৩০ কোটি বছরে মাত্র ১ সেকেন্ড সময় হারাবে। তারা বলেন, এক সময় আমরা পৃথিবীর ঘূর্ণন গণনা করে সময় পরিমাপ করতাম। কিন্তু ঘূর্ণনের সময় পৃথিবী এর অক্ষের ওপর কিছুটা কম্পন বা ঝাঁকি খায়। এতে একদিন অন্যদিনের চেয়ে সামান্য ছোট বা বড় হয়। এ সমস্যার কারণে ১৯৬০ সাল থেকে বর্তমানে প্রচলিত আণবিক ঘড়ির মাধ্যমে সময় পরিমাপ করা হচ্ছে। প্রচলিত পদ্ধতির নাম সিজিয়াম ফাউন্টেইন। এতে সময় পরিমাপের জন্য সিজিয়াম ধাতুর অণুর মাধ্যমে মাইক্রোওয়েভ সৃষ্টি করা হয়। আর নতুন আবিষ্কৃত পদ্ধতিতে আলো প্রয়োগ করে স্ট্রনটিয়াম ধাতুর অণুগুলোকে উত্তেজিত করা হয়। আর এভাবেই পাওয়া যায় আরও অনুপুঙ্খ সময়।
গবেষক ড. জর্মে লোডওয়াইক জানান, নতুন ঘড়িতে তারা লেজার বিম ব্যবহার করেছেন, যা মাইক্রোওয়েভের চেয়ে বেশি কার্যকর। এ অপটিক্যাল ঘড়ি সিজিয়াম ফাউন্টেইনের চেয়ে তিনগুণ বেশি নিখুঁতভাবে সময় দেয়। -বিবিসি।